রোহিত শর্মাকে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে মানতেই পারছেন না যুবরাজ সিং। তবে নেতা রোহিতকে কিন্তু যুবি ফুল মার্কস দিচ্ছেন। তবে টেস্ট দলের অধিনায়ক করা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বরে অজিঙ্কা রাহানে দল থেকে বাদ পড়লে, কাকে টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনা চলেছে। বিসিসিআই-এর হাতে অনেকগুলো বিকল্পও ছিল। তবে বাকিদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকার জন্য রোহিত শর্মাকে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজে ভারতের ভরাডুবির পর বিরাট কোহলি নেতৃত্ব ছাড়লে রোহিতের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।
রোহিত ছাড়াও বিসিসিআই-এর বিকল্পের তালিকায় ঋষভ পন্ত, কেএল রাহুল, জসপ্রীত বুমরাহ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নাম ছিল। কিন্তু অন্যদের তুলনায় রোহিতের অভিজ্ঞতাটাই বিচার্য হয়েছে। অভিজ্ঞ ওপেনারকেই নির্বাচকেরা সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত করেছিলেন।
তবে হোম অফ হিরোস অন স্পোর্টস ১৮-তে কথোপকথনের সময়ে যুবরাজ দাবি করেছেন, রোহিত একজন দুর্দান্ত নেতা হলেও, ওকে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি আবেগপূর্ণ। তিনি মনে করেন, রোহিত চোটপ্রবণ। এটি দলের নেতৃত্বের পাশাপাশি ফিটনেস বজায় রাখার জন্য টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে তাঁর উপর চাপ বাড়াবে।
আরও পড়ুন: রোহিতের জন্মদিনে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল মুম্বই, তবে বড় দেরী করে
যুবি বলেছেন, ‘চমৎকার নেতা। আমি যখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতাম, তখন আমি ওর অধীনে খেলতাম। খুব ভালো চিন্তাবিদ, খুব ভালো অধিনায়ক। আরও আগে অন্তত সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হওয়া উচিত ছিল রোহিতের। কিন্তু যেহেতু বিরাট এত ভাল করছিল এবং দলও ভাল করছিল, তাই সেটা সম্ভব ছিল না।’
যুবরাজ সিং জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে ওকে টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক করা একটি আবেগপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল। যখন ওরা ওকে অধিনায়ক করেছিল তখন ফিটনেস সাপেক্ষে ঘোষণা করা হয়েছিল। ফিটনেস সাপেক্ষে আপনি আপনার টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করতে পারেন না। ও চোট প্রবণ। ও এখন সেই বয়সে রয়েছে, যেখানে ওকে ওর শরীরের যত্ন নিতে হবে।’
যুবি আরও যোগ করেছেন, ‘এটি টেস্ট অধিনায়কত্বেও ওর উপর চাপ বাড়াবে। টেস্ট ক্রিকেটে ইনিংস শুরু করার মাত্র কয়েক বছর হলো। ও ভালো খেলছে। ওকে টেস্ট ক্রিকেটে ওর ব্যাটিংয়ে ফোকাস করতে দেওয়াই ভালো। আমি আশা করি ও সেটাই উপভোগ করবে।’