কোনও ভাবেই অলিম্পিক্স বাতিল করা হবে না, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির পক্ষ থেকে। আর সে কারণেই অলিম্পিক্সের প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করে দিল জাপান। যার প্রথম পদক্ষেপ হল গণ-টিকাকরণ।
জাপানের টোকিয়োতে অলিম্পিক্সের আসর বসছে ঠিকই, তবে তার ঠিক পাশেই রয়েছে ওসাকা। যে শহরও অলিম্পিক্সের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। অথচ এই দুই শহরে করোনা তীব্র আকার নিয়েছে। চিকিৎসা পরিকাঠামো কার্যত ভেঙে পড়েছে। যে কারণে এই দুই শহরের জন্য গণ-টিকাকরণের ব্যবস্থা করল জাপান সরকার। সেনা পরিচালিত দু'টি কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন হাজার জনকে ভ্যাকসিন দেবে সরকার।
অলিম্পিক্সের আর দু'মাস মতো বাকি। তার আগে জাপানের ৮০ শতাংশ মানুষ কোনও ভাবেই চান না, করোনা পরিস্থিতির মাঝে অলিম্পিক্স হোক। এমন কী টোকিয়োর চিকিৎসকেরাও অলিম্পিক্স বন্ধ করার জন্য আয়োজক এবং আইওসি-কে চিঠিও দিয়েছিলেন। তবে এই অলিম্পিক্স কোনও অবস্থাতেই বাতিল হবে না বলে, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আইওসি-র তরফে। সেই কারণেই সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই গণহারে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন জাপান সরকার।
তবে টিকা দেওয়া হলেও , প্রশ্ন উঠেছে এত কম সময়ে সকলকে কি টিকা দেওয়া আদৌ সম্ভব হবে? মুনেমিত্সু ওতানাবে নামের এক ইঞ্জিনিয়ার ভ্যাকসিন নেওয়ার পরই এই প্রশ্নই তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য হল, ‘অলিম্পিক শুরুর আগে কি ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব? এই প্রক্রিয়া যদি আরও আগে শুরু করা যেত, তবে টিকা নেওয়া মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারত। অলিম্পিক্স শুরুর আগে যদি অধিকাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে যান, সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।’
অনেকে আবার টিকা নেওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছেন। আপাতত ১ হাজার করে টিকা দেওয়া হলেও, টোকিয়োতে এই সংখ্যাটা দ্রুত ১০ হাজারে নিয়ে যেতে চাইছে জাপান সরকার। যাতে যত বেশি সম্ভব সাধারণ মানুষ টিকা পেয়ে যেতে পারেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।