দু'দশকের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে একটিই আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে। কলকাতায় ফিরে এমনই জানালেন ঝুলন গোস্বামী। তিনি বললেন, ‘কোনও আক্ষেপ নেই। একটাই আক্ষেপ। বিশ্বকাপ ট্রফিটা নিয়ে এসে এখানে যদি তোমাদের বুমের সামনে কথা বলতাম, আরও ভালো লাগত।’
সোমবার কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ঝুলন। তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (সিএবি) প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। হাজির ছিলেন সিএবির অন্যান্যও কর্তারা। 'ঝুলন দিদি'-কে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিল অনেক খুদে ক্রিকেটারও। ঝুলন বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই তাঁকে ফুল, মালা দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
তারপর নিজের কেরিয়ার ও অবসর নিয়ে মুখ খোলেন ঝুলন। যিনি গত শনিবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। তাঁর দখলে বিশ্ব ক্রিকেটের একাধিক রেকর্ড আছে। সেই বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কলকাতায় নেমে কী কী বললেন, তা দেখে নিন -
কেরিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ?
ঝুলন: প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ, ২০১৭ সালের (৫০ ওভারের) বিশ্বকাপ ফাইনালটা সবথেকে কাছে থাকবে। তারপরে ভারতের জার্সিতে যেদিন অভিষেক হয়েছিল, প্রথমবার যখন টুপিটা পরেছিলাম, মাঠে নেমেছিলাম, সেই ম্যাচটা থাকবে। তারপর থাকবে (আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের) শেষ ম্যাচটা। ওই তিনটে ম্যাচ তো থাকবেই। তার মধ্যে অনেকগুলি ম্যাচ আছে, টেস্ট ম্যাচ আছে, যে ম্যাচগুলি টিভিতে সম্প্রচারিত হয়নি। প্রতিটি ম্যাচেরই এক-একটি গুরুত্ব আছে।
আরও পড়ুন: প্রথম সাক্ষাতেই দ্বিতীয় বলে আমাকে আউট করেছিল ও- ঝুলুর অবসরে নস্ট্যালজিক মিতালি
‘ইংল্যান্ড টু ইংল্যান্ড’
ঝুলন: সেবারও ৫-০ হারিয়েছিলাম ইংল্যান্ডকে। এবার ৩-০ ব্যবধানে হারালাম। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে শীর্ষ থেকে শুরু করেছিলাম এবং শেষটাও করলাম শীর্ষে থেকে। আমার নিজেের পারফরম্যান্সের দিক থকেে (বলছি না)। দল হিসেবে ২০০৫ সালে আমরা সিরিজ জিতেছিলাম ৫-০ ব্যবধানে। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জিতলাম।
অবসরের পর বাংলার ক্রিকেটের ভরসা ঝুলন
ঝুলন: হ্যাঁ। অনেক কাজ আছে, অনেক কাজ করতে হবে। সিএবি আছে। সিএবি নিজের মতো করে চেষ্টা করছে। আমিও সিএবির সঙ্গে নিজের ধারণাগুলো ভাগ করে নিচ্ছি। কিছুটা সময় লাগবে। একদিনে তো আমিও ঝুলন গোস্বামী হইনি। আশা করব, অনেক প্রতিভাবান মেয়ে আছে। গ্রামেগঞ্জে অনেক প্রতিভাবান মেয়েরা ক্রিকেট খেলছে। তাদের পর্যাপ্ত সুবিধা ও পরিকাঠামো প্রদান এবং তাদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। মহিলা ক্রিকেটের উন্নতির জন্য অনেক কিছু করছে সিএবি।
মহিলা আইপিএল
স্ট্যান্ডের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। (মহিলা আইপিএল নিয়ে) আগে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হোক। এখনও তো সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। আগে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হোক, তারপর না হয়, এটা নিয়ে ইন্টারভিউ দেওয়া যাবে। এখন যদি সব ইন্টারভিউ দিয়ে দিই, তখন তো তোমরা (সাংবাদিকদের) কেউ আসবে না (হাসি)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।