বাংলা নিউজ > ময়দান > মিতালির সঙ্গে সম্পর্ক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে চোট, অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ঝুলন

মিতালির সঙ্গে সম্পর্ক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে চোট, অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ঝুলন

মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামী (ছবি:ইনস্টাগ্রাম)

মিতালির সঙ্গে সম্পর্ক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে চোট! নিজের অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ঝুলন গোস্বামী।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে মহিলা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায় থেকেই বিদায় নেওয়ার পরে মিতালি রাজ ও ঝুলন গোস্বামীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন ভারতের মহিলা ক্রিকেটার স্নেহাল প্রধান। মিতালি ও ঝুলনকে পাশে রেখে চলতি মহিলা বিশ্বকাপে ভারতরে পারফরমেন্স থেকে ঝুলন ও মিতালির অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। এই সাক্ষাৎকারে তিন মহিলা ক্রিকেটারই একটা সময়ে আবেগে ভেসে যান।নিজেদের অবসরের প্রসঙ্গে ঝুলন ও মিতালি বলেন এখনই এই বড় সিদ্ধান্ত তারা নেননি। এই বিষয়ে কিছু বলার জন্য তাদের আরও সময় লাগবে। ঝুলন বলেন এই সিদ্ধান্ত এখানে নেওয়া যাবে না। মিতালির বলেন,‘আমি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সত্যিই ভাবিনি। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে মন্তব্য করাও ঠিক হবে না। এই ম্যাচের পরবর্তীতে এখনও আমাদের সবার মধ্যে সেই ইমোশন রয়েছে।’

বিশ্বকাপে ভারতের পারফরমেন্সের প্রসঙ্গে মিতালি রাজ বললেন,‘আমরা যে ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম প্রত্যেকেই ফাইনাল খেলেতে চেয়েছিল। বিষয়টা আর হচ্ছে না। তবে আমি এটা ভেবে খুশি যে মেয়েরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। তবে হ্যা এটা ঠিক যে আমরা নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের সঙ্গে বেশ কয়েকটা ম্যাচ খারাপ খেলেছিলাম। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে ক্যাপিটালাইজ করতে পারিনি। তবে হ্যা মেয়েরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছিল।’

ম্যাচের আগে নিজের চোট নিয়ে ঝুলন গোস্বামী বলেন,‘কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো আমাদের হাতে থাকে না। আমি আমার ওয়ার্ম আপ বলটা শুরু করেছিলাম তখনই হঠাৎ আমি আমার আপার অ্যাপসে চোট পেলাম। হ্যা এটা মনটাকে ভেঙে দিয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন,‘তবে মেয়েরা যেভাবে খেলেছে, তাদের লড়াইকে কুর্নিশ করতেই হবে। কারণ তারা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়েছিল। যেটা আমি মাঠের বাইরে থেকে দেখছিলাম।’

মিতালিকে নিয়ে বলতে গিয়ে ঝুলন বলেন,‘আমি যখন ক্রিকেট খেলতে এসেছিলাম তখন মিতালি আমার থেকে সিনিয়র ছিল। আমরা প্রায় একই বয়সী হলেও, ওর থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। কীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ সামলাতে হয়। হ্যা এটা আমাদের কেউ বলে দেয়নি। এটা আমরা আমাদের সাজঘর থেকে দেখে শিখেছি। আমরা একসঙ্গে একটা টিম হিসাবে এবং এক একজন ক্রিকেটার হিসাবে বড় হয়ে উঠেছি। আমরা বিশ্বাস করতাম যে আমরা সবকিছুকে ভেঙে এই দলকে অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারব। আমরা য়ে সব করেছি যা দলের জন্য দরকার ছিল। এটা গর্বের যে আমি মিতালি ও দলের অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলেছি। আমি সাজঘরের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি।’

বন্ধ করুন