বাংলা নিউজ > ময়দান > মাঠে স্যান্ডউইচ নিয়ে কেন? ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ে ক্ষোভের আগুন অজি ড্রেসিংরুমে

মাঠে স্যান্ডউইচ নিয়ে কেন? ল্যাঙ্গারের কোচিংয়ে ক্ষোভের আগুন অজি ড্রেসিংরুমে

অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলনে জাস্টিন ল্যাঙ্গার। (ফাইল ছবি, সৌজন্য ফেসবুক @AustralianCricketTeam)

ভারতের সঙ্গে হারের আবহের মধ্যেই অজি ড্রেসিংরুমে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।

বছরদুয়েক আগেই অশান্তির আঁচ মিলেছিল। ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারের আবহে হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের একাংশের মধ্যে সেই ক্ষোভের আগুন আরও বেড়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’-এর প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের কয়েকজনের সূত্র উদ্ধৃত করে সেই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ল্যাঙ্গার যেভাবে দল সামলান, তা একেবারেই পছন্দ নয় কয়েকজন খেলোয়াড়ের। বিশেষত করোনাভাইরাস আবহে নিভৃতবাস এবং জৈবসুরক্ষা বলয়ের মধ্যে ল্যাঙ্গারের জেদ এবং মেজাজ পরিবর্তনের ফলে পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে মত কয়েকজন ক্রিকেটারের। সূত্ররা জানিয়েছেন, দল সামলানোর সময় একেবারে খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর দেন ল্যাঙ্গার। যা 'অত্যধিক' বলে মনে করছেন খেলোয়াড়দের একাংশ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় বোলারদের কানের কাছে অসংখ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। লাগাতার দেওয়া হয় নির্দেশ। কার্যত ‘হেডমাস্টার-সুলভ’ আচরণ করেন ল্যাঙ্গার। তার ফলে চলতি গ্রীষ্মের অজি ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। বিশেষত সেই দলে অধিকাংশ অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন। তাঁদের অনেকেই ড্রেসিংরুমের পরিবেশে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন বলে সূত্রের দাবি।

যদিও খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছেন ল্যাঙ্গার। তিনি দাবি করেছেন, ‘সত্যের থেকে বেশি দূরে আর কিছু হতে পারে না।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে একেবারে সব খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে তিনি নজর রাখেন না। পরিসংখ্যান দিয়ে বোলারদেরও বিরক্ত করতেন না বলে দাবি করেছেন।

তবে ভারতের বিরুদ্ধে গাব্বা টেস্ট চলাকালীন এক খেলোয়াড় মাঠে স্যান্ডউইচ নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন ল্যাঙ্গার। সূত্র উদ্ধৃত করে ওই অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘদিনের অভ্যেস মতো এক খেলোয়াড় টোস্টেড স্যান্ডউইচে জ্যাম মাখিয়ে পকেটে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তা মাঠে খেতেন তিনি। কিন্তু ওই খেলোয়াড়কে সেই অভ্যেস ছাড়ার নির্দেশ দেন ল্যাঙ্গার। তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ খেলোয়াড়দের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে ল্যাঙ্গার অবশ্য বলেন, ‘তুমি ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামছ। আমরা একটা টেস্ট জয়ের চেষ্টা করছি এবং আমাদের একজন খেলোয়াড়ের হাতে টোস্টেড স্যান্ডউইচ আছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘বিষয়টি নিয়ে গতকাল (ওই খেলোয়াড়ের সঙ্গে) আমি বিস্তারিতভাবে কথা বলেছি। আমি বলেছি, এটা কেমন দেখতে লাগে বলে মনে হয় তোমার? এটা কি আমার বলা উচিত নয়? ’

ল্যাঙ্গার নিজের স্বপক্ষে দাবি পেশ করলেও অস্ট্রেলিয়ার অন্দরে যে ‘অল ইজ নট ওয়েল’, তা ভারতের বিরুদ্ধে হারের পর আবারও প্রকাশ্যে বেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বছরদুয়েক আগে উসমান খোয়াজার সঙ্গে ল্যাঙ্গারের কথা কাটাকাটি ধরা পড়েছিল।

বন্ধ করুন