শুভব্রত মুখার্জি: টেস্ট খেলিয়ে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। তাদের এই খ্যাতি বা সুনামের সিংহভাগ কৃতিত্ব তাদের ব্যাটার, ফিল্ডারদের পাশাপাশি পেসারদেরও। বরাবর তাদের বোলিং অ্যাটাক পেস নির্ভর। মাঝে মাঝে সেই লাইন আপে বেশ কিছু ভাল স্পিনার জায়গা করে নিলেও প্রোটিয়াদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেট নেওয়ার বলা ভাল বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলেন কেশব মহারাজ। সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ সিরিজে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। উল্লেখ্য মহারাজ ছাড়া আর একমাত্র প্রোটিয়া স্পিনার হিসেবে এই কৃতিত্ব রয়েছে হিউজ টেফিল্ডের।
বাংলাদেশ দলের বিরুদ্ধে পোর্ট এলিজাবেথে সদ্য শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন স্পিনার কেশব মহারাজ। বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ নম্বরে খেলতে নামা খালেদ আহমেদকে আউট করে এই নজির গড়েন কেশব মহারাজ। ৩২ বছর বয়সি স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান খালেদ। অপরদিকে টেফিল্ড এই নজির গড়েছিলেন ১৯৪৯-৬০ এই সময়কালের মধ্যে। তিনি ৩৭ টেস্ট খেলে নিয়েছিলেন ১৭০টি উইকেট। এর পাশাপাশি একাধিক অনন্য নজিরও গড়েছেন মহারাজ।
প্রসঙ্গত বিশ্ব ক্রিকেটে মহারাজ একমাত্র বোলার যিনি পরপর দুই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৭ বা তার বেশি উইকেট নিতে সক্ষম। সিরিজে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন কেশব। গড় ১২.১২। ১৯৫০ সালের পরে এই প্রথমবার চতুর্থ ইনিংসে দুই প্রোটিয়া স্পিনার (মহারাজ এবং হার্মার) নিজেদের মধ্যে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন। শুধু বল হাতে নয় ব্যাট হাতেও সিরিজে বেশ সফল তিনি। নিজের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৮৪ রান ও তিনি এই সিরিজেই। টেফিল্ড, মহারাজের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পল অ্যাডামস (১৩৪ উইকেট), পল হ্যারিস (১০৩ উইকেট) এবং নিকি বোয়ে (১০০ উইকেট)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।