বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাব জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে সহজেই নিজের প্রিয় তারকাদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেতে সক্ষম হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে আরেক বিপদেরও। হাতের নাগালে প্রায় সকলকে পেয়ে, অপরজনের ওপর কী প্রভাব পড়তে পারে তার বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে সক্রিয় হন একাংশ।
মুহূর্তের মধ্যেই স্ক্রিনের পিছন থেকে করা যায় একাধিক মন্তব্য, যা অনেক সময়েই আপত্তিজনক প্রকৃতির হয়। এই ধরনের আপত্তিজনক মন্তব্যের বিরুদ্ধেই ক্ষোভে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের ডাক দিয়েছেন একাংশ। প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও ধারাভাষ্যকার কেভিন পিটারসেনও সেই দলে সামিল। তাঁর দিকে ধেয়ে আসা কটুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তিনি জানান, ‘আমি সোশ্যাল মিডিয়া বয়কট উদ্যোগে যোগদান করছি। অতীতে আমি বহুবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কটুক্তির শিকার হয়েছি এবং এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির এই বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’ তবে তিনি একা নন, এর আগে একই যুক্তিতে সোশ্যাল মিডিয়াকে বিদায় জানিয়েছেন ফরাসি তারকা ফুটবলার থিয়রি অঁরিও। ইংল্যান্ডের প্রিমিয়র লিগের তারকাও এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন।
ইংল্যান্ড ফুটবল দলের অধিনায়ক হ্যারি কেন, সহ-অধিনায়ক জর্ডন হেন্ডারসন সহ একাধিক ক্লাবের ফুটবলার ও কোচেরাও প্রতিনিয়ত ধেয়ে আসা এই কটুক্তির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। এক সমীক্ষা অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড়রা এ বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ৩০০ শতাংশ বেশি কটুক্তির শিকার হয়েছেন। তাই বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই পদক্ষেপ যে অত্যন্ত জরুরি, তা বলাই বাহুল্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।