বিরাট কোহলি বর্তনাম যুগের একজন অন্যতম সেরা প্লেয়ার। এবং ইতিমধ্যেই তিনি নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোহলি ২৭১টি ওডিআইতে ১২৮০৯ রান করেছেন, ১০৮টি টেস্ট ম্যাচে ৮১৯৫ এবং ১১৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪০০৮ রান করেছেন। তাঁর ৭৪টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি রয়েছে। যা সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সেই কোহলি কিনা একটা সময়ে ভেবেছিলেন, তাঁকে আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে যেতে হবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পডকাস্ট সিজন টু-এর প্রথম পর্বে কথা বলার সময়ে কোহলি এমন একটি সময়ের কথা বলেছেন, যখন তিনি ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার ভয় পেয়েছিলেন এবং ভেবেছিলেন দলে ফিরে আসার জন্য তাঁকে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে যেতে হবে। আসলে কোহলি ২০১২ সালের কথা বলছেন। যে সময়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট খেলতে পার্থে এসেছিলেন, তখন পার্থের উইকেটে দেখে তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এবং সেই ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে তিনিই ধরেই নিয়েছিলেন, তাঁকে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: রাহুলের বদলে কি শুভমন? উমেশ সুযোগ পাবেন? কী হবে ইন্দোরে ভারতের একাদশ?
বিরাট বলেছেন, ‘যখন আমরা পার্থে পৌঁছেছিলাম, প্রথমেই পিচ দেখে বুঝেছিলাম, এই পিচে ব্যাটিং করা খুব কঠিন হবে। কারণ সেখানে প্রচুর গতি এবং বাউন্স ছিল। শুধু এটুকুই নয়, এক জন ব্যাটারের দুর্ভোগ বাড়ানোর জন্য প্রচুর ঘাসও ছিল। এবং আমি জানতাম যে, যদি এই টেস্ট ম্যাচে পারফর্ম না করি, তা হলে আমি আর চতুর্থ ম্যাচে কোনও সুযোগ পাব না। সম্ভবত, আমাকে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে ফিরে যেতে হবে এবং সেখানে লড়াই করে ফের জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি যখন সিডনি ছেড়েছিলাম, তখন খুুব চাপের পরিস্থিতি ছিল। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট ম্যাচ হেরে যাওয়ায় পুরো পরিবেশটাই টালমাটাল হয়েছিল। প্রত্যেকেই চাপের মধ্যে ছিল। বিশেষ করে যখন এটি অস্ট্রেলিয়ায় আপনার প্রথম সফর এবং আপনার চারপাশে সবাই চাপে রয়েছে, তখন আপনার চাপও বেড়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: যোগ্যতার ভিত্তিতে ওরই সুযোগ পাওয়া উচিত- রাহুল আর গিল লড়াইয়ে মুখ খুললেন শাস্ত্রী
বিরাট এখানেই না থেমে, বলেছেন, ‘কারণ পুরো দলই অসম্ভব চাপ অনুভব করছে এবং আমি সবচেয়ে অনভিজ্ঞ ছিলাম। আমি কী ভাবে এই চাপ কমাতে পারি, সেটাই ভাবছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিল, আলাদা কিছু ভাবলে, চাপ কমতে পারে। তাই আমি একা একা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। আমি কফিশপেও সময় কাটিয়েছি। আমার মনে আছে, আমি যখনই টিম বাসে যেতাম বা অনুশীলনের সেশনে থাকতাম, সব সময়েই আমি গান শুনতাম। আমি নিজেকে বলতে থাকতাম যে, আমি ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে ফেলেছি। আমি এই স্তরে যথেষ্ট ভালো খেলতে পারব। যদি ওডিআই ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করতে পারি, আমি এখানেও ভালো ভাবে খেলতে পারব।’
যদিও ভারত সেই ম্যাচে বাজে ভাবে হেরেছিল। অজিদের কাছে ইনিংস এবং ৩৭ রানে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে কোহলি দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪৮ এবং ৭৫ রান করেছিলেন। তিনিই ভারতের হয়ে সেই ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন।