রুদ্ধশ্বাস ডার্বিতে আবার চমক। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ব্যবধান কমাল ইস্টবেঙ্গল। ৭২ মিনিটের মাথায় লালরিন্ডিকার অসামান্য থ্রু ধরে মোহন-কিপারকে পরাস্ত করলেন মার্কোস এসপাদা।
সবুজ-মেরুন দাপটে নিষ্প্রভ ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ফের গোল মোহনবাগানের! ৬৪ মিনিটে সেই বেইতিয়ার কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলের দ্বিতীয় গোল করলেন বাবা দিওয়ারা।
প্রথমার্ধ্বের সতেরো মিনিটের মাথায় গোল দিয়ে রবিবারের ডার্বি শুরুতেই জমিয়ে দেয় মোহনবাগান। নাওরেমের পাস থেকে জোসেবা বেইতিয়ার হেডে ম্যাচে প্রথম সাফল্য পেল সবুজ-মেরুন শিবির। বিরতিতে মোহনবাগানের পক্ষেই ফল রইল ১-০।
তবে দ্বিতীয় গোলের সুযোগ অল্পের জন্য নষ্ট হল মোহনবাগানের। ৪৪ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে চকিতে ঘুরে শট নেন দিওয়ারা। অসাধারণ সেভ করে সেই প্রচেষ্টা রুখে দিলেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক রালতে।
শেষ আই লিগ ডার্বি ম্যাচে রবিবারের যুবভারতীতে যুযুধান ময়দানের দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই পয়লা কর্নার হাসিল করে ইস্টবেঙ্গল। যদিও তাতে কোনও বিপদই সৃষ্টি হয়নি সবুজ-মেরুণ ডিফেন্সে। পালটা আক্রমণে উঠে গিয়ে জোরালো শট নিলেও বেইতিয়ার চেষ্টা বানচাল করে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক।
পাঁচ মিনিটের মাথায় পাপা দিওয়ারাকে দারু থ্রু বাড়ান বেইতিয়া, কিন্তু তিনি অফসাইডের ফাঁদে ধরা পড়েন। ফের সাত মিনিটের মাথা বেইতিয়ার থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে বক্সে উঁচু বল পেলেন আশুতোষ মেহতা, তবে লালতের দুর্ভেদ্য পাঁচিল ডিঙোতে অক্ষম হয় বল।
উপর্যুপরি আক্রমণে ম্যাচের গোড়া থেকেই বিপক্ষের ডিফেন্সে কাঁপন ধরিয়ে দেয় মোহনবাগান। তবে ১১ মিনিটের মাথায় বক্সে ঢুকে পড়েও শেষ কাজটি সারতে ব্যর্থ হন ইস্টবেঙ্গলের সুহের।
১৪ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ফাঁক গলে ফের বক্সে ঢুকে পড়েন পিন্টু মাহাত। কিন্তু তাঁর প্রচেষ্টা রুখে দেন রালতে। তবে ১৭ মিনিটের মাথায় বেইতিয়ার হেড শেষ পর্যন্ত তাঁকে পরাস্ত করে জালে বল জড়িয়ে দেয়। দলের প্রথম গোল উচ্ছ্বাসের বন্যা বইয়ে দেয় সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে।
গোলের পরে খেলার গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়ে। ৩৫ মিনিটে ফের সুযোগ পায় মোহনবাগান। কাসিম আইদারা বলের নাগাল না পাওয়ায় দারুণ সুযোগ পান নাওরেম। কিন্তু তাঁর শট আটকে দেন মার্তি ক্রেস্পি।
এর কিছু পরেই ৩৭ মিনিটে হুয়ান গঞ্জালেসকে পিছন থেকে ট্র্যাপ করে হলুদ কার্ড দেখতে হয় প্রান্সিসকো গঞ্জালেস।
৩৯ মিনিটের মাথায় ফের ইস্টবেঙ্গলের জালে জড়ায় সুহেরের হেডার, কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাপা দিওয়ারার পা স্পর্শ করায় অফসাইড ডাকেন লাইন্সম্যান।
মাঠের ডান প্রান্ত ধরে তীব্র গতিতে বাগানবক্সে ঢুকে পড়লেও আগুয়ান পিন্টু মাহাতকে দুর্ধর্ষ ট্যাকলের সাহায্যে রুখে দেন নাওরেম। উলটো দিকে, বিপক্ষের আক্রমণ রুখতে গিয়ে বিশ্রী ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ক্রেস্পি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।