রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই নতুন নতুন মাইলস্টোন স্থাপন করছেন সার্জিও রামোস। লকডাউনের পর রিয়াল মাদ্রিদও লিগে ক্রমশ ব্যবধান বাড়িয়ে নিচ্ছে বার্সেলোনার থেকে।
করোনার জন্য লিগ মাঝপথেই বন্ধ থাকার পর নতুন করে খেলা শুরু হওয়ার সময় রিয়াল মাদ্রিদ গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার থেকে ২ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল। ৬ ম্যাচ পরে তারাই মেসিদের থেকে এগিয়ে যায় ৪ পয়েন্টে। লিগের বাকি পাঁচ ম্যাচে অহেতুক পয়েন্ট না খোয়ালে রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিত।
শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ড্র করে বার্সাই রিয়ালকে লিগ জয়ের পথে আরও এক কদম এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল। গেটাফের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে সুযোগটা যথাযথ কাজে লাগালেন জিদানরা।
রিয়ালের জার্সিতে কেরিয়ারের ৪৫০তম লা লিগা ম্যাচে মাঠে নেমে ক্যাপ্টেন রামোসই ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। কার্যত ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দলকে উদ্ধার করেন তিনি। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের মাইলস্টোন ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখেন রামোস। সেই সঙ্গে দলকেও স্বস্তি এনে দেন তিনি।
এই জয়ের ফলে ৩৩ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৭৪। সমসংখ্যক ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট।
ম্যাচের আগে রামোসের হাতে মাইলস্টোনসূচক স্মারক জার্সি তুল দেন রিয়াল প্রেসিডেন্ট। মাদ্রিদের পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে রামোস ৪৫০ লিগ ম্যাচে মাঠে নামেন। যার মধ্যে রিয়াল জয় তুলে নিয়েছে ৩০২টি ম্যাচে। রামোস ইতিমধ্যেই লা লিগায় সবথেকে বেশি ৭০টি গোল করা ডিফেন্ডারের রেকর্ড গড়েছেন।
রিয়ালে রামোসের থেকে বেশি লিগ ম্যাচ খেলেছেন রাউল (৫৫০), স্যাঞ্চিস (৫২৩), ক্যাসিয়াস (৫১০) ও স্যান্টিলানা (৪৬১)। গেটাফের বিরুদ্ধে ম্যাচেই রামোস টপকে যান স্যান্টিলানার একটি সর্বকালীন রেকর্ড। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে রামোসের এটি ৬৪৬তম ম্যাচ। স্যান্টিলানা মাদ্রিদের হয়ে সবমিলিয়ে ৬৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন। এই নিরিখে রামোস চার নম্বরে চলে এলেন। তাঁর আগে রয়েছেন কেবল রাউল (৭৪১), ক্যাসিয়াস (৭২৫) ও স্যাঞ্চিস (৭১০)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।