শুভব্রত মুখার্জি
একটা সময় ছিল যখন মুথাইয়া মুরলীধরন, শেন ওয়ার্ন ও অনিল কুম্বলে, এই স্পিন ত্রয়ী বা বলা ভালো ত্রিফলা তাদের স্পিনের জাদুতে বিদ্ধ করেছেন একের পর এক বিশ্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যানদের। টেস্টের ইতিহাসে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহকারীদের তালিকায় যতাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখলে রেখেছেন এই তিন কিংবদন্তি।
৯০'র দশকে বিশ্বের যে কোনও উইকেটে তাঁর লেগ স্পিনের জাদুতে ব্যাটসম্যানদের ফাঁদে ফেলতেন ওয়ার্ন। বিশ্বের যে কোন বোলারকেই শ্রেষ্ঠত্বে পৌঁছতে বিপক্ষে এমন কিছু ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হয় যারা তাঁকে সবসময় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন। ওয়ার্নের সময়কালে এমন দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন ভারতের সচিন তেন্ডুলকার এবং ক্যারিবিয়ান তারকা ব্রায়ান লারা।
১৯৯৮ সালে যখন অজিরা ভারত সফরে এসেছিল, করেছিল সেসময় একদম প্রথম ইনিংসে ওয়ার্নের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছিলেন সচিন। সেবার ওয়ার্ন বাজিমাত করলেও পরবর্তী সমস্ত ইনিংসে কিন্তু বাজিমাত করেছিলেন শচীন। ওয়ার্নকে অনবরত সুইপ, প্যাডেল সুইপ করে করে তাঁর লাইন-লেনথ বিগড়ে দিয়েছিলেন সেবার সচিন। স্টেপ আউট করে লং অন, অফ মিড উইকেটের উপর দিয়ে সচিনের মারা একের পর এক শটে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন বিশ্বশ্রেষ্ঠ লেগ স্পিনার। একটা সময় ওয়ার্ন সাক্ষাৎকারে পর্যন্ত জানিয়েছিলেন যে, ওই সফরের দুঃস্বপ্ন তাকে ঘুমের মধ্যেও তাড়া করত। তিনি যেন দেখতে পেতেন শচীন স্টেপ আউট করে একের পর এক ছয় হাঁকাচ্ছেন।
বর্তমানে ওয়ার্ন ব্যস্ত মরুভূমে রাজস্থান রয়্যালস দলকে তালিম দিতে। সেখান থেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন 'আমি মনে করি আমার সময়ের ক্রিকেটের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন সচিন এবং ওয়ার্ন। ওরা বিশ্বের যে কোনও সময়ে ক্রিকেটের কিংবদন্তি হিসেবে গন্য হবে। আমি ওদের বল করাটা খুব উপভোগ করতাম। আপনি জানেন তাদের যা ক্লাস তাতে তারা আমাকে যে কোন দিন মাঠের যে প্রান্তে মারতে পারত। আবার কোনদিন আমিও তাদেরকে আউট করতাম। সেসময় সমর্থকরা আমাকে, লারাকে এবং সচিনকে আদর করে বিগ থ্রি বলে ডাকত। আমি মনে করি আমাদের মধ্যের ক্রিকেট মাঠে এই ব্যাট বলের লড়াই ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছে, জনপ্রিয় করেছে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।