লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাসের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে মিসবা উল হকের নেতৃত্বাধীন এশিয়া লায়ান্স। টসে জিতে লায়ান্সরা প্রতিপক্ষ জায়ান্টাসদের ব্যাট করার আহ্বান জানালে বিধ্বংসী কেভিন ও'ব্রায়েনের ৯৫ রানের সুবাদে ২০৫-রান করে জায়ান্টসরা। লায়ান্সের হয়ে সফলতম বোলার নুয়ান কুলশেখরা নির্ধারিত চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। জবাবে উপুল থরঙ্গার ৬৩ এবং তিলকরত্নে দিলশানের ৫২ রানে ভর করে লায়ান্স সহজেই ম্যাচ জিতে যায়। জায়ান্টসের হয়ে মর্নে মর্কেল ৩৮ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন।
দুর্ধর্ষ জয় লায়ান্সের
২০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সহজেই ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসদের হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ জিতল জায়ান্টরা। ১৮ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ মোটামুটি ৫০-৫০ ছিল। ১২ বলে জয়ের জন্য ২৩ রান দরকার ছিল লায়ান্সদের। তবে ১৯তম ওভারে সাইডবটমের বিরুদ্ধে ২২ রান মেরেই কাজ সহজ করে ফেলেন মিসবা-আফগান। শেষমেশ চার বল এবং ছয় উইকেট হাতে রেখে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লায়ান্সরা। মিসবা ১৯ রান (১০ বলে) এবং আফগান ১৪ রানে (সাত বলে) অপরাজিত থাকেন।
হাফিজ আউট
থরঙ্গা আউট হওয়ার পরের ওভারেই হাফিজকে সাজঘরে ফেরালেন মর্নে মর্কেল। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে বড় শট মারতে গিয়ে কিপার ট্রটের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন হাফিজ। একই ওভারের শেষ বলে ক্রিজে সদ্য নামা মিসবাকেও রান আউট করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে বল উইকেটে লাগাতে ব্যর্থ হন করি অ্যান্ডারসন। ১৭ ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ১৭০-৪। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার আফগান (তিন বলে দুই রান) এবং মিসবা।
অভূতপূর্ব তাহির
দুর্দান্ত ব্যাটিং করা থরঙ্গা, লায়ান্সকে দ্রুত জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে বাউন্ডারি থেকে ইমরান তাহিরের দুর্ধর্ষ ডাইরেক্ট হিটে ব্যক্তিগত ৬৩ রানে (৪৩ বলে) সাজঘরে ফিরতে হল তাঁকে। নতুন ব্যাটার আজগার আফগান। ১৬ ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ১৫৮-৩।এখান থেকেই খেলা ঘুরতে চলেছে?
তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে লায়ান্সের গাড়ি
বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করাটা কখনই সহজ নয়। স্কোরবোর্ডের চাপ সবসময়ই থাকে। তবে লায়ান্সরা কিন্তু মাসকাটে দারুণভাবে লক্ষ্যে এগোচ্ছে। ১৫ ওভারেই ১৫০ রান সম্পূর্ণ করল লায়ান্সরা। বাকি পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ৫৬ রান, হাতে আট উইকেট।
ব্যাক টু ব্যাক ৫০
গত রাতে ইন্ডিয়া মহারাজাসের বিরুদ্ধে ৬৬ রানের সুন্দর একটি ইনিংস খেলেছিলেন থরঙ্গা। তবে দলকে জেতাতে পারেননি। জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আবারও এক অসাধারণ অর্ধশতরান করলেন থরঙ্গা। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৬০ রানে (৩৮ বলে)। ১৪ ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ১৪১-২।
দিলশান আউট
মর্নে মর্কেলের নিখুঁত ইয়র্কারে কুপোকাত দিলশান। ব্যক্তিগত ৫২ রানেই সাজঘরে ফিরতে হল লঙ্কান তারকাকে। তবে থরঙ্গার সঙ্গে তাঁর ৮৮ রানের পার্টনারশিপ এশিয়া লায়ান্সকে মজবুত জায়গায় এনে দিয়েছে। লায়ান্সের হয়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন মহম্মদ হাফিজ। ১৩ ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ১২৭-২।
অর্ধশতরান দিলশানের
গত ম্যাচে অর্ধশতরান হাতছাড়া করলেও জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৫০-র গণ্ডি পার করলেন দিলশান। ১২ ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ১১৬-১। দিলশানের স্কোর ৫০ (৩০ বলে), থরঙ্গা অপরাজিত ৪৩ রানে (৩২ বলে)।
দুই শ্রীলঙ্কানের ৫০ রানের পার্টনারশিপ
আকমল আউট হওয়ার পরে দিলশান এবং থরঙ্গা মিলে শক্ত হাতে লায়ান্সের ইনিংস সামলে নিয়েছেন। ১০ ওভার শেষে এশিয়া লায়ান্সের স্কোর ৯৬-১। থরঙ্গা খেলছেন ৩৩ রানে (২৫ বলে), দিলশান অপরাজিত রয়েছেন ৪০ রানে (২৫ বলে)। বর্তমানে দুই লঙ্কান তারকার মধ্যেকার পার্টনারশিপ ৬১ রানের।
৫০-র গণ্ডি টপকাল লায়ান্স
গত রাতে দুর্ধর্ষ ৬৬ রানের ইনিংস খেলার পর, আজও থরঙ্গাকে দারুণ ছন্দে দেখাচ্ছে। নয় বলে ১২ রান করে শুরুটা ভালই করেছেন তিনি। তাঁকে ক্রিজে সঙ্গ দিচ্ছেন দিলশান। তাঁর ব্যক্তিগত স্কোর ২৫ (১৭ বলে)। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ৫৪-১।
আকমল আউট
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লায়ান্সরা শুরুটা বেশ ভালই করেছিল। তবে নিজের প্রথম ওভারেই বল হাতে কামাল করলেন পানেসার। বড় শট মরার চেষ্টায় স্কোয়ার লেগে স্যামির হাতে ধরা পড়েন কামরান আকমল। ব্যক্তিগত ১৪ রানে (১০ বলে) আউট হন আকমল। চার ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ৩৮-১। ক্রিজে নতুন ব্যাটার থরঙ্গা।
লায়ান্সের ইনিংস শুরু
২০৬ রানে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাইডবটমের বিরুদ্ধে শুরুটা ঠিকঠাকই করল লায়ান্সরা। প্রথম ওভার শেষে লায়ান্সের স্কোর ৭-০। দিলশান এবং কামরান আকমল উভয়েই ব্যক্তিগত ৩ রান করেছেন।
প্রথম ইনিংস শেষ
প্রথম ইনিংস শেষে মাসকাটের ময়দানে রানের পাহাড় খাড়া করল ওয়ার্ল্ড জায়ান্টরা। ২০ ওভার শেষে ও'ব্রায়েনের ৯৫ রানে ভর করে সাত উইকেটের ২০৫ রান করেন জায়ান্টসরা। ইনিংসের শেষের দিকে পরপর উইকেট হারিয়ে একটু বিপাকে পড়লেও শেষ ওভারে অ্যালবি মর্কেলের বড় হিটের সুবাদে শেষ বলে ২০০-র গণ্ডি পেরোয় জায়ান্টসরা। অ্যালবি ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। কুলশেখরা এবং মহম্মদ হাফিজ, উভয়েই দু'টি করে উইকেট নেন।
ডবল উইকেট
প্রথমে কুলশেখরার পারফেক্ট ইয়র্কারে কুপোকাত হন স্যামি। ব্যক্তিগত আট রানে (আট বলে) সাজঘরে ফেরেন জায়ান্টস অধিনায়ক। এরপর ক্রিজে নেমেই প্রথম বলে বড় শট মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন ইমরান তাহিরও। জায়ান্টসের স্কোর ১৯ ওভার শেষে ১৮৬-৭। ক্রিজে অ্যালবি মর্কেলকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন ভাই মর্নে।
ও'ব্রায়েন আউট
গোটা ইনিংস জুড়ে মুথাইয়া মুরলিধরনের বিরুদ্ধে নাগাড়ে বড় শট খেলে গিয়েছেন ও'ব্রায়েন। তবে তীরে এসে তরী ডুবল। শতরানের লোভে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই লঙ্গঅফে হাফিজের কাছে ধরা দিলেন ও'ব্রায়েন। তবে ব্যক্তিগত ৯৫ রানের (৪৬ বলে) একটি দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলেন তিনি। ১৮ ওভার শেষে জায়ান্টসের স্কোর ১৭৯-৫। ক্রিজে নতুন ব্যাটার অ্যালবি মর্কেল।
পাঠানকে টপকে গেলেন ও'ব্রায়েন
গত রাতে ৪০ বলে টুর্নামেন্ট সর্বাধিক ৮০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছিলেন ইউসুফ পাঠান। তবে এক রাত পরেই পাঠানকে টপকে এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরের মালিক কেভিন ও'ব্রায়েন। ১৭ ওভার শেষে জায়ান্টসের স্কোর ১৬৫-৪। ও'ব্রায়েন ব্যক্তিগত ৮৩ রানে (৪২ বলে) অপরাজিত রয়েছেন।
১৫০ রানের গণ্ডি টপকাল জায়ান্টস
১৬তম ওভারেই ১৫০-র গণ্ডি টপকে গেল জায়ান্টরা। তবে ওভারের পঞ্চম বলে মিসবা উল হকের ডাইরেক্ট হিটের জেরে ১৪ রান (১৩ বলে) করে সাজঘরে ফিরতে বাধ্য হন শাহ। ১৫.৫ ওভার শেষে জায়ান্টদের স্কোর ১৫৫-৪। ক্রিজে নতুন ব্যাটার অধিনায়ক স্যামি।
দাপুটে মেজাজে ও'ব্রায়েন
১৫ ওভার শেষে আইরিশ তারকা কেভিন ও'ব্রায়েনের সুবাদে তিন উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭ রানে করেছে জায়ান্টসরা। শেষ পাঁচ ওভারে ভাল ব্যাট করলে সহজেই ২০০-র গণ্ডিও পেরিয়ে যাবে ড্যারেন স্যামির দল। ও'ব্রায়েন ব্যাট করছেন ৭৪ রানে (৩৬ বলে), শাহের স্কোর আট (নয় বলে)।
করি অ্যান্ডারসন আউট
ম্যাচে হাফিজের দ্বিতীয় শিকার হলেন করি অ্যান্ডারসন। ১৮ রান (১২ বলে) করে আউট হন প্রাক্তন কিউয়ি তারকা। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি কোনো। ১২ ওভার শেষে জায়ান্টসের স্কোর ১১৪-৩। নতুন ব্যাটার ওয়েশ শাহ। এই ওভারেই নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ও'ব্রায়েন। তিনি অপরাজিত রয়েছেন ৫৩ রানে (২৭ বলে)।
১০ ওভার শেষে ভাল জায়গায় জায়ান্টস
শুরুতেই কেভিন পিটারসেনকে হারালেও নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের ১০ ওভার শেষে বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে জায়ান্টসরা। ১০ ওভার শেষে জায়ান্টসদের স্কোর ৮৬-২। ৩৪ রানে (২১ বলে) ব্যাট করছেন ও'ব্রায়েন এবং অ্যান্ডারসনের সংগ্রহ ৯ (ছয় বলে)।
অ্যামেজিং আজহার
সেট হওয়া ফিল মাস্টার্ড নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জায়ান্টসদের বড় রানের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে লেজেন্ডস ক্রিকেট লিগ মানেই অতীতের পাতা উল্টে দেখা। ঠিক সেইরকমই এক মুহূর্তের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন আজহার মাহমুদ। স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে সামনের দিকে ঝাঁপ দিয়ে মাস্টার্ডের ক্যাচ ধরলেন। মহম্মদ হাফিজের বলে ব্যক্তিগত ২৮ রান (২২ বলে) করে আউট হন মাস্টার্ড। আট ওভার শেষে জায়ান্টসের স্কোর ৬৬-২। ব্যাটে নেমেছেন করি অ্যান্ডারসন।
৫০-র গণ্ডি টপকাল জায়ান্টস
আজহার মেহমুদের বিরুদ্ধে ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে উঠল ১৫ রান। পাওয়ার প্লে শেষে জায়ান্টদের স্কোর ৫২-১। মাস্টার্ড ব্যাট করছেন ১৯ রানে (১৫ বলে), ও'ব্রায়েনের সংগ্রহ ১৮ (১০ বলে)।
আক্রমণে জায়ান্টস
ভাসের তৃতীয় এবং ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ২০ রান যোগ করে জায়ান্টসরা। শুরুটা ভীষণই মন্থরভাবে করলেও অবশেষে পাওয়ার প্লেতে আক্রমণ করা শুরু করেছেন ও'ব্রায়েনরা। পাঁচ ওভার শেষে জায়ান্টসের স্কোর ৩৭-১।
পিটারসেন আউট
প্রথম দুই ওভার শেষে মাত্র দুই রান হওয়ায় রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ভাসকে ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকান পিটারসেন। তবে তৃতীয় তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হল। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হন পিটারসেন। তিন ওভার শেষে জায়ান্টসদের স্কোর ১৬-১। ক্রিজে নতুন ব্যাটার কেভিন ও'ব্রায়েন।
দারুণ স্টার্ট লায়ান্সের
দুই লঙ্কান তারকা ভাস এবং কুলশেখরার, দুইজনেই ভাল লাইন লেংথে বল করে পিটারসেনদের মারার সুযোগই দেননি। দুই ওভার শেষে জায়ান্টসদের স্কোর ২-০।
ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসের একাদশ
কেভিন পিটারসেন, ফিল মাস্টার্ড, ওয়েশ শাহ, করি অ্যান্ডারসন, অ্যালবি মর্কেল, কেভিন ও'ব্রায়েন, ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক), ইমরান তাহির, মর্নে মর্কেল, মন্টি পানেসার, রায়ান সাইডবটম।
এশিয়া লায়ান্সের একাদশ
উপুল থরঙ্গা, তিলকরত্নে দিলশান, কামরান আকমল (উইকেটকিপার), মিসবা উল হক (ক্যাপ্টেন), আজগার আফগান, আজহার মেহমুদ, মহম্মদ হাফিজ, নুয়ান কুলশেখরা, চামিন্ডা ভাস, মুথাইয়া মুরলিধরন ও উমর গুল।
এশিয়া লায়ান্সের দলে দু'টি পরিবর্তন
শোয়েব আখতার ও মহম্মদ ইউসুফের বদলে দলে এলে চামিন্ডা ভাস এবং আজগার আফগান।
টস জিতল এশিয়া লায়ান্স
এশিয়া লায়ান্সের তরফে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন মিসবা উল হক।