দীর্ঘ নিরবতার পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক মন্ডলীর প্রধান চেতন শর্মা। প্রায় তিন মাস আগে একটি স্ট্রিং অপারেশনের ফলে প্রধান নির্বাচকের পদ হারাতে হয় প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে। ওই স্ট্রিং অপারেশনে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পদ হারানো নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এই মুহূর্তে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের মরশুম চলছে। প্রচারে সব আলো রয়েছে সেই দিকে। তার মাঝেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং বিসিসিআইয়ের নির্বাচক মন্ডলীর প্রাক্তন প্রধান চেতন শর্মা টুইটারে একটি পোস্ট করেন। সেই পোষ্টের মাধ্যমে সবার নজর তাঁর দিকে ঘুরে গিয়েছে। টুইটারে তিনি লেখেন, 'জীবন এখনও পর্যন্ত খুব কঠিন। নিজের কাছে এবং প্রিয়জনের থেকে কোনও আশা নেই। আশা করি মাতা রানী আমাকে আশীর্বাদ করবেন।'
চেতন শর্মার স্ট্রিং অপারেশন জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেট। কিছুসংখ্যক মানুষ ভারতীয় দলের সম্পর্কে কু-কথা বলায় চেতন শর্মাকে কটাক্ষ করে তাঁকে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে কথা বলতে থাকেন। আবার কিছু সংখ্যক তাঁকে সমর্থন করতে থাকে। ভারতীয় দলের গোপন বিষয়ে কথা বলা থেকে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলে ফিরে আসার জন্য নিষিদ্ধ ইনজেকশন নিচ্ছেন, সেই বিষয়ে কথাও বলেন চেতন। সেই ভিডিয়ো ফাঁস হয়ে যায়। তখনই তাঁকে নির্বাচকমন্ডলীর প্রধান থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনার পরে নিজেই পদত্যাগ করেন চেতন।
টিভি স্ট্রিং অপারেশনে চেতন শর্মাকে প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে লড়াইয়ের সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করতে দেখা যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থাকাকালীন বিরাটকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে বেশ শোরগোল দেখা যায় ভারতীয় ক্রিকেটে। সেই বিষয়েও মুখ খোলেন চেতন।
তবে এদিনেই এই টুইটের পর অনেকেই আবার ট্রোল করেছে প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচককে নিয়ে। পাল্টা রিটুইট করে লিখেছেন, ‘কার্মা।’ ফলে জাতীয় নির্বাচকের চাকরি হারানোর পর প্রথমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ফের কটাক্ষের মুখে চেতন।
তবে জাতীয় নির্বাচক মন্ডলীর চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় কার্যকাল দুই মাসেরও কম স্থায়ী হয়। প্রথম কার্যকালের সময় ভারতীয় দলের হতাশজনক পারফরম্যান্সের জন্য তিনি সহ তাঁর নির্বাচক মন্ডলীকে বরখাস্ত করে ভারতীয় বোর্ড। ৫৭ বছর বয়সী এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ভারতের হয়ে ২৩টি টেস্ট এবং ৬৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।