ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ ও এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৩-এর যুগ্ম কোয়ালিফায়ারে এই প্রথম ম্যাচ জিতল ভারত। বাংলাদেশকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ব্লু টাইগার্স।
ভারতের পরের ম্যাচ
ভারত লিগের শেষ ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। তৃতীয় স্থানে থেকে লিগের খেলা শেষ করতে হলে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও ভালো ফুটবল খেলতে হবে ছেত্রীদের।
পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের সুবাদে ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ভারত লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে আসে। তারা পিছনে ফেলে দেয় ছয় ম্যাচে ৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করা আফগানিস্তানকে। বাংলাদেশ ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের একেবারে শেষেই থেকে যায়।
ভারত ২-০ গোলে জয়ী
ম্যাচ শেষ। সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে ভারত ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশকে। চলতি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারে প্রথম জয় পেল ভারত। প্রথম পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করেছিল ভারত।
ফের গোল করলেন ছেত্রী
৯০+২ মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল সুনীল ছেত্রীর। ভারত ২-০ এগিয়ে। সুরেশের পাশ থেকে বল ধরে ডান পায়ের শটে বাংলাদেশের জালে জড়িয়ে দেন ভারত অধিনায়ক।
হলুদ কার্ড
৮০ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া।
ছেত্রীর গোল
৭৯ মিনিটের মাথায় সুনীল ছেত্রীর গোলে ভারত ১-০ এগিয়ে যায়। আশিক কুরুনিয়ানের অসাধারণ ক্রস থেকে হেডে বল বাংলাদেশের জালে জড়িয়ে দেন ভারত অধিনায়ক।
হলুদ কার্ড
৭৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন কুরুনিয়ান।
জোড়া পরিবর্ত
৭৪ মিনিটে রাকিবকে তুলে নিয়ে মেহাদি হাসানকে মাঠে নামায় বাংলাদেশ। মোতিনের পরিবর্ত মাঠে নামেন সুমন রেজা।
ফের সুযোগ নষ্ট ভারতের
৭৩ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে ভেসে আসা বল হেডে বাংলাদেশের জালে জড়ানোর সুযোগ ছিল শুভাশিসের সামনে। তিনি বল জালে রাখতে বেযর্থ হন।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৭২ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ব্রেন্ডনের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
পরিবর্ত
৬৬ মিনিটে বিপলোকে তুলে নিয়ে আব্দুল্লাকে মাঠে নামায় বাংলাদেশ।
সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া ছেত্রীর
৬৩ মিনিটের মাথায় ব্রেন্ডনের দুরন্ত ফ্রি-কিক শট থেকে হেডে গোল করার সুযোগ পান ছেত্রী। অত্যন্ত খারাপ হেডারে বল মাঠের বাইরে চলে যায়। গোল করার অতি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ভারত অধিনায়ক।
হলুদ কার্ড
৬৩ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশের বিপলো।
পরিবর্ত
৬০ মিনিটে মনবীরকে তুলে নিয়ে লিস্টনকে মাঠে নামায় ভারত।
ঝিঙ্গানের হেডার গোলকিপারের হাতে
৫৬ মিনিটের মাথায় কর্ণার থেকে ভেসে আসে বল হেডে বাংলাদেশের জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। তবে তা বাংলাদেশ ফুটবলারের পিঠে লেগে গোলকিপারের দস্তানায় চলে যায়।
জোড়া পরিবর্ত ভারতের
দ্বিতীয়ার্ধে উদান্তাকে তুলে নিয়ে ইয়াসিরকে মাঠে নামায় ভারত। বিপিন সিংয়ের পরিবর্তে মাঠে নামেন কুরুনিয়ান।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দু'দল প্রান্ত বদল করার পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
হাফ-টাইম
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। এখনও প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেনি কোনও দল। ম্যাচ এখনও গোলশূন্য।
ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে ১ মিনিট সময় অতিরিক্ত যোগ হয়।
সুযোগ নষ্ট
৪৫ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশি ডিফেন্ডার নিজেদের বক্সে বল তুলে দেল মনবীরের পায়ে। যদিও গোল যথাযথ শট নিতে ব্যর্থ তিনি।
আনিসুরের সেভ
৪১ মিনিটের মাথায় ব্রেন্ডন বক্সের মাঝখান থেকে সোজা বাংলাদেশ গোলকিপারের হাতে বল মেরে বসেন।
পরিবর্ত
৩৫ মিনিটে মুসাক মিয়াকে তুলে নিয়ে ইব্রাহিমকে মাঠে নামায় বাংলাদেশ।
গোল-লাইন সেভ
গোল করার দুরন্ত সুযোগ হাতছাড়া হল ভারতের। চিংগ্লেনসানার হেডার গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন বাংলাদেশ ডিফেন্ডার।
হলুদ কার্ড
৩৪ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশের রহমত মিয়া।
হেডার প্রতিহত
৩২ মিনিটে মনবীরের হেডার প্রতিহত হয় বাংলাদেশের গোলমুখে।
সুযোগ নষ্ট ভারতের
২৯ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের বক্সে বল পেয়ে যান ছেত্রী। তবে তিনি হ্যান্ড বল করায় গোলের সুযোগ নষ্ট হয়।
দিশাহীন শট
২০ মিনিটের মাথায় উদান্তার দিশাহীন শট মাঠের বাইরে চলে যায়।
ছেত্রীর হেডার প্রতিহত
১১ মিনিটে বিপিনের ক্রস থেকে হেডে বাংলাদেশের জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন সুনীল ছেত্রী। তবে তাঁর হেডার প্রতিহত হয়।
হ্যান্ড বল
ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় হ্যান্ড বল করে বসেন সুরেশ।
হলুদ কার্ড
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখলেন বাংলাদেশের রাকিব। ম্যাচের ২ মিনিটের মাথায় ব্রেন্ডনকে পিছন থেকে ফাউল করার জন্য তাঁকে সতর্ক করে দেন রেফারি।
ম্যাচ শুরু
দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে ম্যাচ শুরু।
চলতি কোয়ালিফায়ারে ভারতের এযাবৎ পারফর্ম্যান্স
ভারত কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে ১-২ গোলে পরাজিত হয় ওমানের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে কাতারের বিরুদ্ধে। তৃতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। চতুর্থ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। পঞ্চম ম্যাচে ০-১ গোলে হারে ওমানের কাছে। ষষ্ঠ ম্যাচে কাতারের কাছে হারে ০-১ গোলে। সুতরাং ৬টি ম্যাচে এখনও জয় অধরা ভারতের। তারা ৩টি ম্যাচ ড্র করে। পরাজিত হয় ৩টি ম্যাচে।
বাংলাদেশের পরিবর্ত
ইয়াসিন আরাফত, মহম্মদ রিমন হোসেন, মহম্মদ মেহাদি হাসান, মহম্মদ ইব্রাহিম, মহম্মদ মেহেদি হাসান, মহম্মদ রাসেল মাহমুদ (গোলকিপার), হাবিবুর রহমান সোহাগ, মহম্মদ আব্দুল্লা, মহম্মদ ইমন, মহম্মদ সুমন রেজা, মহম্মদ জেওয়েল, মহম্মদ শাহিদুল আলম (গোলকিপার)।
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ
আনিসুর রহমান (গোলকিপার), মহম্মদ রহমত মিয়া, তপু বর্মন, জামাল ভুঁইয়া (ক্যাপ্টেন), মাসুক মিয়া, বিপলো আহমেদ, মহম্মদ মতিন, তারিক রাইহান কাজি, রিয়াদুল হাসান, মহম্মদ মানিক হোসেন মোল্লা, রাকিব হোসেন।
ভারতের পরিবর্ত
আকাশ মিশ্র, ছাংতে, আদিল খান, সাহাল আব্দুল সামাদ, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, ধীরাজ সিং (গোলকিপার), প্রণয় হালদার, উদান্তা সিং, লিস্টন, ইশান পন্ডিতা, ইয়াসির মহম্মদ, প্রীতম কোটাল, আশিক কুরুনিয়ান, অমরিন্দর সিং (গোলকিপার)।
ভারতের প্রথম একাদশ
গুরপ্রীত সিং সান্ধু (গোলকিপার), চিংগ্লেনসানা সিং, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, সন্দেশ ঝিঙ্গান, শুভাশিস বোস, সুরেশ সিং, গ্লেন মার্টিন্স, বিপিন সিং, সুনীল ছেত্রী (ক্যাপ্টেন) ও মনবীর সিং, উদান্তা সিং।