সদ্যই ইউরোপের ১২টি বড় ক্লাব একত্রে মিলে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামে একটি নতুন টুর্নামেন্ট খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে দর্শক থেকে বিশেষজ্ঞ সকলেই হতবাক। প্রিমিয়র লিগ থেকে সুপার লিগে যে ছ'টি দল অংশগ্রহণ করার কথা জানিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম লিভারপুল। সুপার লিগের সিদ্ধান্ত জানানোর পর লিভারপুলই প্রথম ইংলিশ দল হিসাবে মাঠে নামে।
২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে জুরগেন ক্লপ সুপার লিগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানিয়েছিলেন, তিনি চান না এমন কোনও লিগ হোক। তাই এই ম্যাচ এবং বিশেষত কোচ ক্লপের মতামতকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল চরমে। ম্যাচের আগেই ক্লপ জানান তিনি এই বিষয়ে অবগত হলেও ক্লাবের মালিকদের তরফে তাঁকে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুপার লিগ নিয়ে আমার মতামতের কোনরকম পরিবর্তন হয়নি। গতকালেই লিডসের মতো একটা কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে প্রস্তুতির সময়ই এই বিষয়ে আমি অল্পবিস্তর জানতে পারি। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি বা আমার দলের খেলোয়াড়রা কিছুই জানতাম না। এখন এর থেকে বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। তবে আমি বুঝতে পারছি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে লোকেরা খুব একটা খুশি নন।’
ক্লপের ভবিষৎ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই মনে করছেন ফুটবল রোমান্টিক জার্মান নিজের ইস্তফা দিতে পারেন কিছুদিনের মধ্যেই। কিন্তু এমনটা যে হচ্ছে না ম্যাচের পর তা সাফ জানিয়ে দেন ক্লপ। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি একজন ফুটবল ম্যানেজার এবং আমি নিষ্ঠাভরে সেই কাজটাই করে যেতে চাই। আমার ইস্তফার বিষয়ে নানা কথা শোনা গেলেও, আমার এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা একটা খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তবে পরিস্থিতি যত কঠিন হয়, আমি তত বদ্ধপরিকর হয়ে উঠি। দলের প্রতি, সমর্থকদের প্রতি আমার একটা দায়বদ্ধতা আছি এবং এই পরিস্থিতি সামলানোর সবরকম চেষ্টা আমি করব।’
লিভারপুল ক্লাবের সহ-অধিনায়ক জেমস মিলনারও তাঁর অসন্তোষের কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মতে এমন কোনও টুর্নামেন্টের প্রয়োজন নেই। আশা করছি এটা যেন না হয়। ম্যাচ নিয়ে প্রস্তুতির জন্য এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু আমি জানি না। তবে এই টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে যা বলা হয়েছে, মনে হয় তার বেশিরভাগটার সাথেই আমি সহমত হব।’ ক্লপ ও মিলনারের মতো দুুুই বড় ব্যাক্তিত্বের মন্তব্যের কি প্রভাব পড়বে, আগামী দিনগুলোতে সেটাই দেখার বিষয়।