২২৮ রান করেও হারতে বসেছিলেন কেভিন পিটারসেনরা। হাই-স্কোরিং ম্যাচে শেষ বল পর্যন্ত বজায় থাকে টান টান উত্তেজনা। যদিও তীরে এসেও তরী ডোবে ইন্ডিয়া মহারাজাসের। জয়ের দোরগোড়ায় এসে থেমে যেতে হয় ইউসুফ পাঠানদের। শেষ বলের থ্রিলার জিতে ফাইনালে ওঠে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বাধীন ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় ইন্ডিয়াকে।
প্রথমে ব্যাট করে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২৮ রান তোলে। হার্শেল গিবস ৭টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ৮৯ রান করেন। ফিল মাস্টার্ড ৩৩ বলে ৫৭ ও কেভিন ও'ব্রায়েন ১৪ বলে ৩৪ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া মহারাজাস ১৯ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২২১ রান তুলে ফেলে। তবে ব্রেট লি-র শেষ ওভারে ২টি উইকেট হারিয়ে বসায় তাদের থেমে যেতে হয় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২২৩ রানে। ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।
৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ বলে ৯৫ রান করেন নমন ওঝা। ইউসুফ পাঠান ২২ বলে ৪৫ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ইরফান পাঠান করেন ২১ বলে ৫৬ রান। তিনি ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন।
শেষ ম্যাচে ইন্ডিয়া মহারাজাস হেরে বসায় ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে এশিয়া লায়ন্স। ইন্ডিয়া জিতলে ছিটকে যেতে হতো শোয়েব আখতারদের। সেক্ষেত্রে ফাইনাল খেলতেন পাঠানরাই।
পয়েন্ট টেবিল:-
১. ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস: ম্যাচ-৪, জয়-৩, হার-১, পয়েন্ট-৬ (নেট রান-রেট +১.০০৮)
২. এশিয়া লায়ন্স: ম্যাচ-৪, জয়-২, হার-২, পয়েন্ট-৪ (নেট রান-রেট -০.৪৫২)
৩. ইন্ডিয়া মহারাজাস: ম্যাচ-৪, জয়-১, হার-৩, পয়েন্ট-২ (নেট রান-রেট -০.৪৩৭)
ফাইনালের সূচি:-
২৯ জানুয়ারি: ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস বনাম এশিয়া লায়ন্স (রাত ৮টা)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।