আইপিএলের আঙিনায় মাথা গলিয়ে দেন গত মরশুমেই। যদিও এখনও মাঠে নামা হয়নি। একটিও আইপিএল ম্যাচ না খেলেই ইতিমধ্যে দল বদলে ফেলেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। গুজরাট টাইটানস শিবিরে প্রতিভার অপচয় হচ্ছে বুঝেই কেকেআর এবছর ট্রেড উইন্ডো দিয়ে দলে নেয় আফগান তারকাকে। আসন্ন আইপিএল নিলামের আগে কলকাতা নাইট রাইডার্স আশ্বস্ত হতে পারে এই ভেবে যে, ভুল লোককে দলে নেয়নি তারা।
আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাট হাতে অত্যন্ত ধারাবাহিক আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান গুরবাজ। বিশেষ করে টপ অর্ডারে ব্যাট হাতে কতটা ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারেন তিনি, লঙ্কা প্রিমিয়র লিগে সেটা ফের প্রমাণ করলেন রহমানউল্লাহ। জাফনা কিংসের হয়ে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
ডাম্বুলার বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে গুরবাজ শেষমেশ ৩৫ বলে ৭৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৭টি চার ও ৫টি ছক্কা। মূলত গুরবাজের এমন দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করেই ডাম্বুলাকে হাই-স্কোরিং ম্যাচে ৫১ রানে পরাজিত করে জাফনা।
পাল্লেকেলেতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জাফনা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৪০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এটিই সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংসের রেকর্ড।
রহমানউল্লাহর হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন অবিষ্কা ফার্নান্ডো। তিনি ৩০ বলে ৫৪ রান করেন। শোয়েব মালিক ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ৩২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ডাম্বুলা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৯ রানে আটকে যায়। দাসুন শানাকা ৪৪ ও ভানুকা রাজাপক্ষে ৩৮ রান করেন। ২২ রানে ৪টি উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্ডো। ম্যাচের সেরা হন গুরবাজ।