বিপিএলে টানা পাঁচ জয়ের পর প্রথম হারের স্বাদ পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফী বিন মোর্তাজার দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কলকাতা নাইট রাইডার্সের লিটন দাস ৪২ বলে ৭০ রানের ক্ল্যাসিক ইনিংস খেলে আউট হন। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ১ ওভার আগে পৌঁছয় কুমিল্লা। দুর্দান্ত এক ফিফটির পর দলকে আরও সামনে টানেন লিটন। শরিফউল্লাহর এক ওভারে মারেন তিন ছক্কা, এক চার।
২৪ রান তোলার পর মনে হচ্ছিল বেশ কিছু বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেবে কুমিল্লা। জয় থেকে ২৩ রান দূরে রেখে লিটন আউট হন মাশরাফীর বলে। শেষের ২৩ রান তুলতে ২৭ বল লাগে কুমিল্লার। হারাতে হয় আরও দুটি উইকেট। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আবারও জমে উঠে ওপেনিং জুটি। আসে ৫৭ রান। ১৮ বলে ১৫ রান করে রান আউটের শিকার হন পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তিনে নেমে ইমরুল কায়েস শুরু করেন দুর্দান্ত। তবে টিকে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। একটি করে ছক্কা-চারে ১৮ রান করে শরিফউল্লাহর হাতে তুলে দেন ফিরতি ক্যাচ।
লিটনের ইনিংসের কারণে বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লাকে। সাতটি চার ও চারটি ছয়ের ইনিংসটি থামার পর জনসন চার্লস ১৮ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থেকে এনে দেন জয়। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৯ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। দারুণ বোলিং করেছেন মাশরাফী। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সরাসরি থ্রোয়ে কুমিল্লার দুই ব্যাটার রান আউট হন।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ রানে ৭ উইকেটে হারিয়ে বসে সিলেট। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটির দুই বিদেশি ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিম ও থিসারা পেরেরা দারুণ ব্যাটিং করে এনে দেন মাঝারি পুঁজি।
২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান তোলে দলটি। অষ্টম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে আসে ৮০ রান। ইমাদ ৪০ ও থিসারা ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও হাসান আলি দুটি করে উইকেট নেন। আবু হায়দার রনি ও তানভির ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি চ্যানেল আই থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।