ভালবাসা এবং যুদ্ধ জিততে হলে সবকিছুই করা যেতে পারে। আর এই কথাটাকে মাথায় রেখেই বাইশ গজের যুদ্ধে নামেন ক্রিকেটের যোদ্ধারা। ব্যাট বলের লড়াই জিততে কোনও কোনও সময় মুখের মানে বাক যুদ্ধেও জড়িয়ে পড়েন তারা। সেটাকেই স্লেজিং বলা হয়ে থাকে। আসলে প্রতিপক্ষকে বা শত্রুকে মানসিকভাবে চাপে রাখতে এই উপায় ব্যবহার করা হয়। কখনও বিপক্ষের ক্রিকেটারকে উত্তেজিত করতে অন্য দলের ক্রিকেটাররা এটা করে থাকেন।
বেশি দেখা যায় যদি কোনও ব্যাটসম্যান দুরন্ত ব্যাটিং করছেন তখন সেই ব্যাটসম্যানের মনসংযোগ ভাঙতে তাকে উত্তেজিত করা হয়। নানা কটূ কথা বলে তাকে রাগানোর চেষ্টা করা হয়। আর যদি কোনও বাবে বিরোধী পক্ষের এই ফাঁদে সেই ব্যাটসম্যান পা দিয়ে দেন তাহলেই আউট। তবে এই রকম মুহূর্তে বাইশ গজরে লড়াই অনেক সময় মাঠের বাইরেও চলে আসে। মাঠের বাইশ গজের স্লেজিং-এর রেশ দেখা যায় মাঠের বাইরেও।
তেমনই এক ঘটনার কথা জানালেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। ২০০৭ সালের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই সময় ভারতের সামনে কঠিন অস্ট্রেলিয়া পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছেন। উথাপ্পা জানান সেই সময় আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে হবে। সেই জন্য সব রকমের পন্থা আমাদের ব্যবহার করতে হত। আমরা ও অজি ক্রিকেটাররা বাইশ গজের মধ্যে একে অপরকে স্লেজিং করতাম।
উথাপ্পা জানিয়েছিলেন, এমন সময় জাহির খানের কথা শুনে তিনি অজি তারকা ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ হেডেনকে স্লেজিং করেন। যার পরে তাঁর উপর হেডেন রেগে গিয়েছিলেন। এরপরে এই স্লেজিং-এর জন্য হেডেন তাঁর সঙ্গে দুই থেকে তিন বছর কথাও বলেননি। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৭ সালে। সেই সময় ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ চলাকালীন হেডেনকে রবিন উথাপ্পা এমন স্লেজিং করেছিলেন যে হেডেন সেটিকে মনে ধরে রেখেছিলেন।
উথাপ্পা জানান, ‘দল জেতার জন্য আমি এটা করেছিলাম, আমরা জিতেও ছিলাম, কিন্তু আমি এমন একজনের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না যে সত্যিই আমার অনুপ্রেরণা ছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।