রাহুলের পরিবর্ত হিসেবে ইংল্যান্ড উড়ে যেতে পারেন মায়াঙ্ক, সহ-অধিনায়ক সম্ভবত পন্ত

যেহেতু এটি একমাত্র টেস্ট এবং মায়াঙ্ককে সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য দলে রাখার সম্ভাবনা কম, তাই নির্বাচকেরা আবার মনে করেন, মায়াঙ্ককে পরিবর্ত হিসেবে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ শুভমান গিলের চোট হলে হনুমা বিহারী ওপেনার হতে পারেন। বিসিসিআই-এর বক্তব্য আবার আলাদা।

কেএল রাহুলের পরিবর্ত হতে পারেন মায়াঙ্ক, সহ-অধিনায়ক হতে পারেন পন্ত।

কথায় আছে কারও সর্নাশ, তো কারও পৌষ মাস। চোটের কারণে ইংল্যান্ড সফর থেকেও ছিটকে গিয়েছেন কেএল রাহুল। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে সম্ভবত ভাগ্য খুলছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্টে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে ভারতীয় দলে ফিরে আসতে পারেন মায়াঙ্ক। কুঁচকির চোটের কারণে ইংল্যান্ড সফর থেকে ছিটকে গিয়েছেন সহ-অধিনায়ক কেএল রাহুল। তাই এই সফরের জন্য সহ-অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে ঋষভ পন্তকে।

বিসিসিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা InsideSport.IN-কে বলেছেন, ‘মায়াঙ্ককে ইংল্যান্ড সফরের জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। আমরা টিম ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞেস করেছি, রাহুলের পরিবর্তের প্রয়োজন কি না! ১৯ জুনের মধ্যে একটি উত্তর দরকার। সে ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডে পাঠানো হবে মায়াঙ্ককে। কিন্তু তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঋষভ সহ-অধিনায়ক হবেন।’

তবে এটাও ভাবা হচ্ছে, যেহেতু এটি একমাত্র টেস্ট এবং মায়াঙ্ককে সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য দলে রাখার সম্ভাবনা কম, তাই নির্বাচকেরা আবার মনে করেন, মায়াঙ্ককে পরিবর্ত হিসেবে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। কারণ শুভমান গিলের চোট হলে হনুমা বিহারী ওপেনার হতে পারেন। যাই হোক, গত ইংল্যান্ড সফরে ভারত যেহেতু তিনটি চোটের মধ্যে পড়েছিল, তাই বিসিসিআই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায় না। এবং রাহুলের ব্যাকআপ বিকল্প হিসেবে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে দলে যোগ করতে চায়।

বিসিসিআইয়ের সেই সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ‘দেখুন, এটা খুব সহজ। নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের নিয়ে দলের সব সময়ই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, হনুমা মিডল-অর্ডারকে শক্তি দেয় এবং যদি শুভমন কোনও ভাবে চোট পায়, আর আমরা ওকে ওপেন করতে পাঠাই, তবে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদের বিকল্প প্রস্তুত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।’