ভারতের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজ গোটা বাংলাদেশ দল। মীরপুরে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাট হাতে ৮৩ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। মেহেদির শতরানে ছিল আটটি বাউন্ডারি এবং চারটি ওভার বাউন্ডারি। তাঁর এই ইনিংসটিই বলে দিচ্ছে, ভারতীয় বোলারদের ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছিলেন তিনি।
শুধু ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও দুটি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার। ৬.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৬ রান দেন তিনি। ইকনমি রেট ৬.৪৫। তাঁর এই অল-রাউন্ড পারফরম্যান্স দেশকে ওডিআই সিরিজ এনে দেয়। ম্যাচের সেরাও হন মেহেদি। ম্যাচ শেষে তাই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শতরান করা এই ব্যাটার। তিনি বলেন, 'শেষ কয়েক বছর ধরে আমি কঠোর পরিশ্রম করে চলেছি। বিশেষ করে বেশ কিছু জায়গায় আমি ফোকাস করেছিলাম। কোথায় বল করলে উইকেট পাওয়া যাবে এবং কীভাবে ব্যাটিং করলে সহজেই রান আসবে। এখন সত্যিই ভালো লাগছে। এই ইনিংসটা আমি কল্পনাও করতে পারিনি। প্রতিপক্ষ যখন ভারত, তখন ম্যাচটা কঠিন হবেই। আমি সেই মতো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছি লাম। আর তাতে সফল হয়েছি।'
আরও পড়ুন:- AUS vs WI: নেতৃত্বে ফিরেই শূন্য রানে আউট স্মিথ, টানা তৃতীয় শতরান ল্যাবুশানের
একটা সময় ভারতীয় বোলারদের দাপটে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ এবং মেহেদি। এই দুই ব্যাটারের গড়া পার্টনারশিপে ভর করে ভারতকে বড় রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:- FIFA World Cup: সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচের আগে অনুশীলনই করেননি রোনাল্ডো!
মেহেদি শতরান করলেও ৭৭ রানে দৌড় থামে মাহমুদুল্লাহর। ম্যাচ শেষে সতীর্থকেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মেহেদি। তিনি বলেন, 'মাহমুদুল্লাহ আমার থেকে অনেক সিনিয়র। অনেকদিন ধরে দেশের হয়ে খেলছে। ওর অভিজ্ঞতা অনেক। আমি ব্যাট করতে নামার পর থেকেই অনেক সাহায্য করেছে। যেভাবে বলেছে সেভাবেই আমি খেলে গিয়েছি। তবে আমার আক্ষেপ একটাই, ও যদি শতরান করতে পারতো তাহলে আরও ভালো হতো। এখনও আমাদের হাতে আরও একটি ম্যাচ আছে, আশা করছি সেই ম্যাচও আমরা জিতব।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।