‘আমি দীপ্তি নই। তবে আমিও এটা (নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট) করতে পারি।’ এমনই মন্তব্যের জেরে তোপের মুখে পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক। তাঁকে একহাত নিলেন ভারতীয় নেটিজেনরা। কথা শোনালেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারও।
শুক্রবার ক্যানবেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পঞ্চম ওভারে বল করছিলেন স্টার্ক। চতুর্থ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন ডেভিড মালান। নন-স্ট্রাইকার এন্ডে ছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। সেই বলের পর ফিরে আসার সময় বাটলারকে উদ্দেশ্য করে স্টার্ককে কিছু বলতে দেখা যায়। স্টাম্প মাইকে তা স্পষ্ট বোঝা না গেলেও অজি পেসারের অঙ্গিভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল যে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান আউট নিয়ে কিছু বলছেন।
তারপর স্টাম্প-মাইকে স্টার্ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দীপ্তি নই। তবে আমিও এটা (নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান-আউট) করতে পারি। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে তুমি আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।’ তাতে পালটা বাটলার বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে আমি আগে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছি।’
স্টার্ক ও বাটলারের সেই কথোপকথনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষত স্টার্কের মন্তব্যে চটেছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। তেমনই একজন বলেন, 'মিচেল, দয়া করে (এসব করবেন না)। আপনার প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধা আছে আমাদের। আমাদের মেয়েদের টেনে আনলে সেটা মাটিতে মিশে যাবে।'
নেটিজেনদের একাংশের দাবি, নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান আউট নিয়ে স্টার্ক সতর্ক করার পরেই বাটলারই দীপ্তির নাম নিয়েছিলেন। সেই রেশ ধরে ‘আমি দীপ্তি নই’ বলে মন্তব্য করেছেন স্টার্ক। যদিও সেটাই কখনও সমর্থনযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন ওই নেটিজেন। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হেমাঙ্গ বাদানি বলেন, ‘নিজের মানসিকতা ঠিক কর স্টার্ক। এটা জঘন্য মনোভাব। দীপ্তি যেটা করেছিল, সেটা ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যেই আছে। ওকে আউট না করার বিষয়টি ঠিক আছে। সেটা তোমার সিদ্ধান্ত। কিন্তু পুরোটার মধ্যে দীপ্তিকে টেনে আনার বিষয়টি কাজ একেবারেই তোমার থেকে আশা করে না ক্রিকেট দুনিয়া।’
নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান আউট
গত মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে চার্লি ডিনকে নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান আউট করেছিলেন দীপ্তি। বল করার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ইংরেজ। পিছন ঘিরে রান আউট করে দিয়েছিলেন ভারতীয় তারকা। তার ফলে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেট তুলে নেয় ভারত এবং জিতে যায় সেই ম্যাচ। নন-স্ট্রাইকার এন্ডে রান আউট আইনসিদ্ধ হলেও পুরো বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। ক্রিকেটের স্পিরিটের বুলি আওড়াতে থাকেন অনেকে (মূলত ইংরেজরা)।