একটা সময় বিরাট কোহলির খারাপ ফর্ম অনেক প্রশ্নের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল তাঁকে। সমালোচিত হতে হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। দলে তাঁর জায়গা নিয়েও অনেক প্রশ্ন তোলেন। সব সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরতে শুরু করেছেন তিনি। গত বছরই টি-টোয়েন্টি এবং একদিনের ম্যাচে শতরান করে সমালোচকদের এক হাতে নিয়েছিলেন কোহলি। এবার ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শেষ ম্যাচে দুরন্ত সেঞ্চুরি করে ফের সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। আমদাবাদ টেস্ট ম্যাচে করেন ১৮৬ রান। এই রান পেতে তাঁর লেগেছে ৪২টি ইনিংস। এর মাঝে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। তবে আবারও বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তাঁকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে ধরা হয়।
দোহায় অনুষ্ঠিত লেজেন্ডস ক্রিকেট লিগ চলাকালী সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের তারকা পেসার মহম্মদ আমির বিরাটের পক্ষে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকারে আমিরকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি তো বিরাটের ভক্ত। সম্প্রতি তিনি তার বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি করেছেন কিন্তু তার আগে পর্যন্ত তাঁকে সমালোচনা শুনতে হয়েছে সেই বিষয়ে কি বলবেন?
প্রশ্ন শুনেই বিস্ফোরণ ঘটান পাকিস্তানের এই বোলার। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই বুঝতে পারি না এরা কারা বিরাটের সমালোচনা করেন। দিনের শেষে বিরাট একজন মানুষ। ওর কোনও রিমোট নেই, যেটা টিপলেই শতরান করবে এবং ভারতের হয়ে প্রতিটি ম্যাচ জিতবে। প্রতিটি ক্রিকেটারদের জীবনে উত্থান এবং পতন থাকে। আমি নিজের উদাহরণ দিয়ে বলছি, অনেক সময় ভালো বল করেও আমি উইকেট নিতে পারি না। কিছু সময় ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়। কোহলির কঠোর পরিশ্রমের বিষয়ে কখনোই সন্দেহ প্রকাশ করা যাবে না। ও চ্যালেঞ্জ দিতে ভালোবাসে। যতবারই বিরাট সমালোচনার মুখে পড়েছে সমালোচকদের কঠোর জবাব দিয়ে ফিরে এসেছে।’
তাঁকে আরও প্রশ্ন করা হয়, ভারতের বিপক্ষে খেলার সময় সবচেয়ে কঠিন ব্যাটার কাকে মনে হয়েছে? তিনি বলেন, ‘ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সব সময় কঠিন। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতেও ভালো লাগে। তবে এত চাপ থাকে যে এইরকম ভাবে কিছু ভাবিনি। মনে একটা বিষয়ে কাজ করে, ম্যাচটা জিততে হবে।’
এই বছরের শেষের দিকে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে একদিনের বিশ্বকাপ। সেখানে পাকিস্তানকে জিততে গেলে তাদের পেস ইউনিটকে আরও শক্তিশালী হতে হবে বলে মনে করেন মহম্মদ আমির। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের স্পিনিং বিভাগকে আরও উন্নত হতে হবে। ভারত নিজেদের স্পিন বিভাগ ভালো করবে। তাই ভারতই বিশ্বকাপ জেতার ক্ষেত্রে গিয়ে থাকবে।’
পাকিস্তান সুপার লিগের একটি ম্যাচে বাবর আজমের সঙ্গে তাঁর ঠোকাঠুকি লাগে। সেই ম্যাচ নিয়ে বিভিন্ন দিকে আলোচনা হতে শুরু করে। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসাবে এই আগ্রাসী মনোভাব থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি। যখন একজন সেরা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কেউ মাঠে নামে তখন বন্ধুত্ব পিছনের সারিতে চলে যাওয়া উচিত। কারণ প্লেয়ার হিসেবে প্রত্যেককেই তাঁর সেরাটা দিতে চায়। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ক্রিকেটে এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। সমর্থকরা এই ব্যাপারটা উপভোগ করেছে। সঙ্গে আমিও উপভোগ করেছি।’