প্রায় আধাশক্তির ভারতীয় দল বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করে। তারকাদের অনুপস্থিতিতে তরুণ তুর্কিদের দক্ষতা ও নাছোড় মনোভাবের ফলেই এই জয় সম্ভব হয়। সফরে তৈরি হয় একাধিক স্মরণীয় গল্প, যার মধ্যে অন্যতম হলেন মহম্মদ সিরাজ।
সিরিজের সময় বাবাকে হারালেও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়ে ও বাবার স্বপ্নপূরণে অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যান সিরাজ। একাধিক চোট আঘাতের ফলে তাঁর সামনে খুলে যায় ভারতীয় দলের দরজা। সেই সুযোগকে সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগান এই ফাস্ট বোলার। সিরিজে মোট ১৩ উইকেট নিয়ে ভারতের তরফে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও হন ২৫ বছর বয়সী বোলার। মুশকিল সময়ে কোচ রবি শাস্ত্রী তাঁকে দারুণভাবে সাপোর্ট করে বলেই জানান সিরাজ।
এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিরাজ বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সফরে বাবাকে হারানোর পর রবি স্যার (রবি শাস্ত্রী) এবং বোলিং কোচ ভারত অরুণ স্যার সবসময় আমাকে সাপোর্ট করে গেছেন। রবি স্যার আমাকে এসে টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা জানান এবং বলেন আমি নিশ্চিত তুমি ম্যাচে পাঁচ উইকেট পাবে। ম্যাচে আমার বাবার আর্শীবাদ সবসময় আমার সঙ্গে থাকবে। অবশেষে আমি যখন পাঁচ উইকেট পাই, তখন রবি স্যার খুবই খুশি হয়েছিলেন। আমার কোচরা এমনভাবে আমায় ভরসা জোগানোয় আমার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়।’
পাশাপাশি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও তাঁর ওপর আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ভারতীয় পেস ব্যাটারির তরুণ তুর্কি। অস্ট্রেলিয়া সফরের পর সিরাজের ওপর প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। পুরোপুরি ফিট ভারতীয় বোলিং বিভাগের প্রথম বাছাই না হলেও, ইংল্যান্ডের লম্বা গ্রীষ্মে ছয়টি টেস্ট ম্যাচে কোন না কোন সময় সিরাজের সুযোগ পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সফরের সাফল্য ধরে রাখাই তাঁর কাছে আসল চ্যালেঞ্জ হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।