মাঠের লড়াই চিরকালীন। মাঠের বাইরেও দ্বন্দ্ব চলে সর্বদা। শুধু সমর্থকদের মধ্যেই নয়, মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব কর্তাদের মধ্যেও সারাক্ষণ ঠোকা-ঠুকি লেগেই থাকে। তবে করোনা মহামারি শেষবেলায় মিলিয়ে দিল দুই প্রধানের ফুটবলারদের।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সকালেই একই বাসে কলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের বিদেশিরা। সোমবার ভোর রাতেই দিল্লি হয়ে আমস্টারডাম উড়ে যাওয়ার কথা কিবু, মারিওদের। সেখান থেকেই নিজ নিজ দেশে পাড়ি দেবেন ফুটবলার ও কোচিং স্টাফরা।
আই লিগ মরশুম বাতিল হলেও লকডাউনে এতদিন ভারতেই আটকে ছিলেন দুই প্রধানের বিদেশিরা। শুধু মোহন-ইস্টেরই নয়, আই লিগের বাকি দলগুলির বিদেশি ফুটবলাররাও ভারতেই আটকে ছিলেন এতদিন। অবশেষে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস ডাচ এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করে দিল্লি থেকে আমস্টারডাম পর্যন্ত ভারতে আটকে থাকা বিদেশি ফুটবলারদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
শহর ছাড়ার আগে মোহনবাগানের ফুটবলারদের বিদায় জানিয়ে আসেন বাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস ও অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। ইস্টবেঙ্গলের তরফে ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেন টিম ম্যানেজার দেবরাজ চৌধুরি।
শহর ছাড়ার আগে দু'দলের ফুটবলাররাই কৃতজ্ঞতা জানান সমর্থকদের। বাগান ফুটবলারদের অবশ্য একটা আক্ষেপ রয়েই গেল। লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও লকডাউনের জন্য আই লিগের ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হল না তাঁদের। দুঃখের বিষয় এও যে, দলকে চ্যাম্পিয়ন করেও কলকাতায় ফেরা হবে না বাগান ফুটবলারদের। বিদায়বেলায় তাই কিবু ভিকুনাদের রীতিমতো আবেগতাড়িত দেখাল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।