স্পনসরের সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন হলেও জটিলতা কাটেনি ইস্টবেঙ্গলের। ক্লাবের শেয়ার তথা স্পোর্টিং রাইট এখনও কোয়েসের হাতে থাকায় ফেডারেশেনের কাছে ইস্টবেঙ্গল দাবি করতে পারবে না ক্লাবের মালিকানা। আসন্ন মরশুমে আইএসএলই হোক অথবা আই লিগ, যে লিগেই খেলুক না কেন, মালিকানা সংক্রান্ত স্বচ্ছতা দরকার লাল-হলুদ শিবিরের।
এমন অবস্থায় কয়েকটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে। প্রথমত, এখনও কোয়েসের কাছ থেকে শেয়ার ফিরে না পেলেও একের পর এক ফুটবলারের সঙ্গে কীভাবে চুক্তি করছে তারা? দ্বিতীয়ত, স্পনসরহীন অবস্থায় আগামী মরশুমের জন্য কীভাবে বাজেট নির্ধারণ করছে ইস্টবেঙ্গল? সর্বোপরি, মোহনবাগানের আইএসএল খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল কোন লিগে অংশ নেবে, সেটা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোটি টাকার প্রশ্ন।
মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা ও ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির প্রসঙ্গ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার। তবে মোহনবাগানের আইএসএল খেলার প্রসঙ্গ উঠতেই রীতিমতো আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল তাঁকে।
লাল হলুদ সচিব দাবি করেন, যদি মালিকানাহীন অবস্থায় ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি করা অবৈধ হয়, তবে যে কেউ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন এ বিষয়ে। আর মোহনবাগান আইএসএল খেলছে বলে তাঁদেরও আইএসএল খেলতে হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল সচিব রীতিমতো তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, 'আমি মনে করি না অন্য দল আইএসএল খেলছে বলে ইস্টবেঙ্গলকেও সেই লিগে খেলতে হবে। সবকিছু সমর্থকদের প্রত্যাশা মতো নাও হতে পারে। মোহনবাগান আইএসএল খেলার জন্য নিজেদের বিক্রি করে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কখনও এমনটা ভাবতেই পারে না।'
বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাকেই মোহনবাগানের বিক্রি হয়ে যাওয়া বলে কটাক্ষ করলেন কল্যাণ মজুমদার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।