গড়াপেটার কলঙ্ক ভারতীয় ফুটবলে। যদিও জাতীয় আঙিনায় নয়, বরং ভারতের একটি রাজ্য সংস্থার আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে দেখা যায় ব্যপক দুর্নীতি। অবশ্য গড়াপেটার মতো দুর্নীতি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষের নিতে পিছপা হয়নি সংশ্লিষ্ট ফুটবল সংস্থা।
ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে মিজোরাম ফুটবল সংস্থা নির্বাসিত করে ৩টি ক্লাব, মোট ২৪ জন ফুটবলার ও ৩ জন অফিসিয়ালকে। মিজোরাম ফুটবল সংস্থা আয়োজিত টুর্নামেন্টে ম্যাচ পাতানোর দায়ে তিন বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয় সিফির ভেঙ্গলুন এফসি, এফসি বেথেলহেম ও রামলুন অ্যাথলেটিক এফসিকে। সেই সঙ্গে তিন অফিসিয়ালকেও ৩ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়, যাঁরা মিজোরাম প্রিমিয়র লিগের ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে কলকাঠি নেড়েছেন।
মিজোরাম ফুটবল সংস্থার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিন ক্লাব ও ফুটবলারদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, স্থানীয় প্রশাসনের তদন্তের পরে মিজোরাম ফুটবল সংস্থা নিশ্চিত হয় যে, সদ্য সমাপ্ত এমপিএল-১১ (মিজোরাম প্রিমিয়র লিগ-১১)-এ দুর্নিতির সঙ্গে জড়িত এই সব ক্লাব, অফিসিয়াল ও ফুটবলাররা। সেই কারণেই সব দিক বিবেচনা করে তাদের শাস্তি বিধান করা হল।'
মিজোরাম ফুটবল সংস্থা আজীবন নির্বাসিত করে ২ জন ফুটবলারকে। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয় ৪ জন ফুটবলারকে। ১০ জন ফুটবলারকে নির্বাসিত করা হয় ৩ বছরের জন্য এবং ৮ জন ফুটবলারকে ১ বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়।
এই তিন ক্লাব রাজ্য সংস্থার প্রাইম ফুটবল লিগে অংশ নেয়। এদের মধ্যে সিফির ভেঙ্গলুন এফসি টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নেয়। তারা সেমিফাইনালে পরাজিত হয় আইজল এফসির কাছে। এমন কঠিন সময়ে মিজো ফুটবলমহলের প্রত্যেককে রাজ্য সংস্থার পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয় এমএফএ-র তরফে।
আসলে গড়াপেটার এই ঘটনায় ফুটবল লিগের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা মিজোরাম ফুটবল সংস্থার। টুর্নামেন্টের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে তৎপর মিজো সংস্থা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে কঠোর শাস্তি দিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে এক্ষেত্রে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।