এমএস ধোনিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এবং এখনও ঋষভ পন্ত বা দীনেশ কার্তিক কোনও ভুল করলেই, ক্রিকেট ভক্ত এবং বিশেষজ্ঞরা প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের অনুপস্থিতিকে বারবার টেনে আনেন। যেমন ২০২২ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রান আউটের সুযোগ মিস করলে ফের ধোনির উদাহরণ টানা হয়েছিল। আবার কার্তিককেও একই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। মোদ্দা কথা, ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরেও, ভারতীয় দলের সঙ্গে পুরোপুরি রয়ে গিয়েছেন।
রান আউট বা স্টাম্পিংয়ের ক্ষেত্রে ধোনি একটি টেমপ্লেট সেট করেছেন এবং লিভফাস্ট ইভেন্টে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ব্যাখ্যা করেছেন যে, তিনি কী ভাবে এই দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। ধোনি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই উইকেটকিপিং শুরু করেছিলেন। এবং এই দক্ষতা তাঁর এসেছে সেই সময় থেকেই। তিনি দাবি করেছেন, টেনিস বলে তিনি কিপিংয়ের প্রথম পাঠ নিয়েছিলেন। যেটা তাঁর দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুন: শাহিন-বুমরাহের লড়াইয়ে ভারতীয় পেসার বাজি পন্টিংয়ের, কোথায় পিছিয়ে পড়লেন আফ্রিদি?
ধোনির মতে, ‘আমি টেনিস বলে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। এই বলে উইকেটকিপিং করার জন্য হাত নরম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওখান থেকেই কিন্তু শুরু। হাত শক্ত হয়ে গেলে বল বেরিয়ে যাবে। টেনিস বলে খেলেই চামড়ার বলে উইকেটকিপিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য পেয়েছি। কিরণ মোরে যখন নির্বাচক ছিলেন, উনি দলের সঙ্গে থাকতেন। উনি আমাকে কিপিং এবং ড্রিল করার সময়ে প্রচুর সাহায্য করেছেন। যেটা আমি খুব পছন্দ করতাম। আমার উইকেটকিপিং টেকনিক যে আলাদা, সেটা উনি বুঝতেন। আমি একেবারেই কপিবুক স্টাইল মেনে চলা কিপার নই। উনি সেই স্বাধীনতা আমায় দিয়েছিলেন, বলেছিলেন ভুলে যাও কপিবুক।’
আরও পড়ুন: T20 WC রোহিতরা নন, তবে জিতবে কারা? সোজাসাপ্টা উত্তর ভারতের প্রাক্তন নির্বাচকের
ধোনি এর আরও ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিপাররা একই কাজ করছেন। ওটা আমার বেসিক শেখার বিষয় ছিল। ক্রিকেটে একটা কথা বলা হয়, বল যখন উইকেটের কাছে আসবে তখনই ধরবে। আমার বক্তব্য, বল রিসিভ করারই কী দরকার আছে? আমরা কিপিংয়ে যে গ্লাভস ব্যবহার করি, সেটি রাবারের, তার মধ্যেও রাবার ও তুলো থাকে। এমনিই নরম। ফলে আমার বল রিসিভ করার প্রয়োজনই নেই। আমি বলটি ছিনিয়ে নিতে পারি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সব বলা ধরা। কোনও কিছু ছাড়া যাবে না। হতেই পারের কারও টেকনিক আলাদা। খুব স্বল্পই ফারাক। একবার যখন কেউ নিজের স্কিলের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে, তখন সে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে থাকে। কিছু আলাদা করা যেতে পারে।’
এমএস ধোনি উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ৮২৯টি আউট করেছেন। যার মধ্যে ১৯৫টি স্টাম্পিং রয়েছে, যা এখনও পর্যন্ত যে কোনও উইকেটরক্ষকের দ্বারা সবচেয়ে বেশি স্টাম্পিং করার রেকর্ড। এ ছাড়াও তিনি সব ফরম্যাটে তৃতীয় সফল উইকেটরক্ষক। 'ক্যাপ্টেন কুল' থেকে শুধুমাত্র মার্ক বাউচার (৯৯৮) এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৯০৫) উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে বেশি আউট করেছেন। অর্থাৎ এই তালিকার তিনে রয়েছেন ধোনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।