অভিনব প্রস্তাব, যদিও একেবারে নতুন নয়। ক্রিকেটবিশ্ব এমন ছবি আগে দেখে থাকলেও ভারতে এই প্রথম বিশেষ কোনও ক্রিকেটারের সম্মানে সংরক্ষিত হতে পারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিশেষ একটি আসন।
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানোর কথা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা কখনও ভুলবেন না। স্মৃতিপটে অমলিন হয়ে থাকবে ধোনির ছক্কা মারার ঐতিহাসিক ছবিটা। অবসর নেওয়ার ঠিক পরেই দাবি উঠল, ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে যে চেয়ারটিতে ধোনির ছক্কার বলটি গিয়ে পড়েছিল, সেটিকে ধোনির নামে চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করার।
মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য অজিঙ্কা নায়েক এমসিএকে চিঠি লেখেন। তিনি দাবি জানান, ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির অপরিসীম অবদানের কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট আসনটিকে সংরক্ষিত করা হোক।
এমসিএর পরবর্তী সভায় এই নিয়ে আলোচন হবে নিশ্চিত। যদি শেষমেশ সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে, তবে ভারতে প্রথমবার এধরণের স্মারক চোখে পড়বে।
এমনিতে কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নামে স্টেডিয়ামের গোটা স্ট্যান্ডের নামকরণ প্রচলিত রয়েছে ভারতে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই সুনীল গাভাসকর, সচিন তেন্ডুলকর, বিজয় মার্চেন্টের নামে স্ট্যান্ড রয়েছে। পলি উমড়িগর ও বিনু মানকড়ের নামে গেটও রয়েছে ওয়াংখেড়েতে। উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির ছক্কাটি গিয়ে পড়ে এমসিএ প্যাভিলিয়নে।
১৯৯৩ সালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সাদার্ন স্ট্যান্ডে একটি সিটে হলুদ রং করা হয় সাইমন ওডোনেলের ১২২ মিটারের বিশাল ছক্কার স্মারক হিসেবে।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ডেল স্টেইনকে ছক্কা মেরে নিউজিল্যান্ডকে ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন গ্র্যান্ট এলিয়ট। ছক্কাটি যে চেয়ারে গিয়ে পড়েছিল, সেটিকে সবুজ রং করে সংরক্ষিত করা হয়েছে। একটি পোস্টারও লাগানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে তোলার জন্য এলিয়টের এই ছক্কার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।