সম্প্রতি ক্রীড়াবিদদের মানসিক স্বাস্থ্যে নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্ব। অলিম্পিক্সে মানসিক স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে একাধিক ইভেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সিমোনে বাইলস। ফরাসি ওপেন থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বিশ্বের দুই নম্বর টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। ক্রিকেটারদের মধ্যে বেন স্টোকসও দিন কয়েক আগে ক্রিকেট থেকে একই কারণে সাময়িক বিরতি নিয়েছেন।
ক্রীড়া জগতে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য যে একটি বড় ব্যাপার সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই প্রসঙ্গেই News18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনিন্দর সিং-কে জিজ্ঞেস করা হয় মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা সামলাতে সকলের মহেন্দ্র সিং ধোনির পন্থা অনুসরণ করা উচিত কিনা। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে স্বভাবের বিপরীতে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে অনুকরণ বা অনুসরণ করা একেবারেই সহজ নয়।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মনে করেন, ‘সকলের পক্ষে এমএস ধোনি হওয়া সম্ভব নয়, কারণ সকলেরই নিজস্ব একটি আলাদা মৌলিক স্বভাব থাকে। ধোনি তো ওর কেরিয়ারের শুরুর থেকেই ওইরকম ছিল। ও বরাবরই বলে এসেছে যে ও খবরের কাগজ পড়ে না বা মিডিয়া কী বলছে না বলছে সেইদিকে পাত্তা দেয় না। এই পদ্ধতিতে দারুণভাবে শুধুমাত্র নিজের খেলার ওপর ফোকাস করা যায়। তবে সকলের পক্ষে সেই পথ বেছে নেওয়া সহজ নয়। যখন কেউ জোড় করে নিজের স্বভাববিরুদ্ধ কোন কাজ করে, তখন তার মনে ভীষণ চাপ পড়ে। তাই এমএসডির চাপ সমালানোর পদ্ধতিকে অনুসরণ করা একেবারেই সহজ নয়।’
পাশপাশি বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও একহাত নিয়েছেন মনিন্দর। সৌরভ কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন যে ভারতীয় ক্রিকেটার মানসিকভাবে অনেক মজবুত, তাই মানসিকভাবে তাঁদের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়না। তবে মনিন্দর দাবি করেন এই ব্যাপারটাকে অনেকেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। ‘শুধুমাত্র ক্রিকেটাররাই নয়, অনেকেই সত্যিটাকে এড়িয়ে যেতে চাইছে। বিরাট কোহলিও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নিজের সমস্যার কথা বলেছে। আমি নিশ্চিত যে বহু ক্রিকেটারেই এই বিষয়ে (মানসিক স্বাস্থ্য) কারুর না কারুর সাহায্য নিয়েছে।’ দাবি তাঁর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।