তাঁর অধীনেই খেলা শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই ‘চাবুক’ খেলোয়াড়ই হয়ে উঠেছেন ভারতের সবথেকে সফল অধিনায়ক। আর উত্তরসূরির অবসর ঘোষণায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটি যুগের অবসান হল বলে মন্তব্য করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘এটা যুগের অবসান। দেশ এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য কী অসামান্য খেলোয়াড় ছিলেন। ওঁর নেতৃত্বদানের স্তরে পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন, বিশেষত খেলার সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে।’
২০০৭ সালে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের আগে একদিনের ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক নিযুক্ত হয়েছিলেন ধোনি। তারপর থেকে ২০০ টি একদিনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জিতেছিলেন ১১০ টি ম্যাচ। হেরেছিলেন ৭৪ টি ম্যাচ। জয়ের বিরিখে ২০০ বা তার বেশি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব প্রদানকারী অধিনায়কের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ধোনি। তাঁর জয়ের হার ৫৯.৫২ শতাংশ।
শুধু অধিনায়কত্ব নয়, ধোনির ব্যাটিং এবং উইকেটে পিছনের দক্ষতারও প্রশংসা করেছেন মাহির প্রথম ভারত অধিনায়ক। ২০০৪ সালে সৌরভের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিষেকের পর পঞ্চম ম্যাচেই ১৪৮ রান করেছিলেন ধোনি। সেখান থেকেই তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। তারপর দেশের হয়ে ১৫ বছর সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছেন।
সৌরভ বলেন, 'কেরিয়ারের শুরুর দিকে একদিনের ক্রিকেটে ওঁর ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হয়েছিল সারা বিশ্ব এবং ওঁর বিচক্ষণতা ও স্বাভাবিক প্রতিভায় অভিভূত হয়েছিল। প্রতিটা ভালো জিনিস একদিন শেষ হয় এবং এটা একদম দুর্দান্ত। আগামিদিনের উইকেট রক্ষকদের জন্য মানদণ্ড নির্ধারণ করে গিয়েছেন ধোনি, যাঁরা দেশের হয়ে ছাপ ফেলবেন। খেলার মাঠের কোনও আপসোস ছাড়াই উনি সে শেষ করবেন। অসামান্য কেরিয়ার। আমি ওঁকে শুভেচ্ছা জানাই।'
পূর্ব ভারত থেকে উঠে আসা অধিনায়কই বরাবর একে অপরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এসেছেন। সৌরভের শেষ টেস্টের সময় কিছুক্ষণের জন্য দাদাকে অধিনায়কত্বের ব্যাটনও তুলে দিয়েছিলেন ধোনি। সেই মুহূর্তের ছবিও নিজের ফেয়ারওয়েল ভিডিয়োয় তুলে ধরেছেন মাহি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।