সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফিতে তারকাখচিত দল নিয়েও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয় মুম্বই। তবে জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। প্রথমবার রাজ্যদলকে নেতৃত্ব দিতে নেমে মুম্বইকে বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে তোলেন পৃথ্বী শ।
ব্যাট হাতে রীতিমতো সামনে থেকে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেন পৃথ্বী। গ্রুপ লিগে একটি ডাবল সেঞ্চুরি-সহ দু'টি শতরান করার পর গুরুত্বপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালেও সেঞ্চুরি করেন তিনি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মরশুমে সবথেকে বেশি রান করার রেকর্ডও গড়েন তিনি। মূলত পৃথ্বীর ব্যাটে ভর করেই সেমিফাইনালে দুরন্ত ছন্দে থাকা কর্নাটককে পরাজিত করে মুম্বই।
পালাম গ্রাউন্ডে কর্নাটকের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মু্ম্বই ৪৯.২ ওভারে ৩২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পৃথ্বী ১৭টি টার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১২২ বলে ১৬৫ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন। বিজয়কুমার ৪টি ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ৩টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কর্নাটক ৪২.৪ ওভারে ২৫০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দেবদূত পাডিক্কাল ৬৪ ও বিআর শরথ ৬১ রান করেন। পাডিক্কাল টুর্নামেন্টের ৭ ম্যাচে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। টুর্নামেন্টে তাঁর সর্বনিন্ম ব্যক্তিগত ইনিংস ৫২ রানের।
মুম্বই ৭২ রানের বড় ব্যাবধানে ম্যাচ জিতে বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে জায়গা করে নেয়। খেতাবি লড়াইয়ে তারা উত্তরপ্রদেশের মুখোমুখি হবে। অপর সেমিফাইনালে ইউপি ৫ উইকেটে পরাজিত করে গুজরাতকে।
অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে গুজরাত ৪৮.১ ওভারে ১৮৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। হেত প্যাটেল ৬০ ও পীযূষ চাওলা ৩২ রান করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ ৪২.৪ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। আকাশদীপ নাথ ৭১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।