Murali Sreeshankar: এমন একটা খেলায় তাঁর ধ্যানজ্ঞান, যে খেলায় ভারতীয়রা ঐতিহাসিকভাবে তেমন সফল নন। আর তাতেই ইতিহাস গড়লেন মুরলী শ্রীশংকর। এবারের কমনওয়েলথ গেমসের লংজাম্পে ঐতিহাসিক রুপো জিতলেন কেরলের ২৩ বছরের অ্যাথলিট। ভাগ্যের ফেরে সোনা ফস্কালেও শ্রীশঙ্করে নয়া ভবিষ্যৎ পেয়ে গিয়েছে ভারত। তবে তাঁর লড়াইটা সহজ ছিল। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসের সময় মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। একনজরে দেখে নিন, সাফল্যের পিছনের সেই লড়াইয়ের কাহিনি -
1/7২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আগে কার্যত মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েছিলেন। অ্যাপেন্ডিক্সের জেরে রীতিমতো প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়েছিলেন মুরলী শ্রীশঙ্কর। (ছবি সৌজন্যে এপি)
2/7২০১৮ সালের মার্চে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে শ্রীশঙ্করের বাবা বলেছিলেন, ‘ছেলের পেটে ব্যথা হচ্ছে বলে জানিয়েছিল। বমিও করছিল। আমরা একজন চিকিৎসকের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করি। দ্রুত স্ক্যান করা হয়। তারপরই চিকিৎসক অ্যাপেন্ডিক্স বের করে আনার জন্য অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।’ (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/7সেইমতো অস্ত্রোপচার হয়েছিল শ্রীশঙ্করের। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক ছিল। গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসের আগে অস্ত্রোপচার হলেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কোনও সুযোগই ছিল না। (ছবি সৌজন্যে এপি)
4/7২০১৯ সালে ফার্স্টপোস্টে শ্রীশঙ্কর বলেছিলেন, ‘ওটা আমার জীবনের একটা কঠিন সময় ছিল। ওটা গুরুতর অবস্থা ছিল। জরুরি ভিত্তিতে আমার অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচার হয়েছিল। পাকস্থলীর মধ্যে ফেটে গিয়েছিল। যা ভয়ঙ্কর হতে পারত। সেখান থেকে ফিরে আসার পথটা কঠিন ছিল। আগের অবস্থায় ফিরতে আমার পাঁচ থেকে ছয় মাস লেগেছিল। আমি কার্যত শূন্যে নেমে গিয়েছিলাম। শরীরের অবস্থা এতটাই বাজে ছিল যে আমি কোনও প্রতিযোগিতায় নামার আগে দু’বার ভাবতাম।' (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
5/7টোকিয়ো অলিম্পিক্সে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি শ্রীশঙ্কর। সেইসময় তাঁর ব্যক্তিগত সেরা ছিল ৮.২৬ মিটার। কিন্তু টোকিয়ায় মাত্র ৭.৬৯ মিটার অতিক্রম করেছিলেন। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
6/7পরবর্তীতে শ্রীশংকর জানিয়েছিলেন, সেইসময় তাঁর আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে নেমে গিয়েছিল। তাঁর কাঁধে হাতে রেখেছিলেন নীরজ চোপড়া এবং পিআর শ্রীজেশ। শ্রীশঙ্কর বলেন, 'আমার ফলাফল, নীরজ ভাইয়া বলেছিল যে আমার উপর আস্থা আছে। ওর মতো কেউ যখন সেই কথাটা বলে, তখন যাবতীয় আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যায়। টোকিয়োয় ভয়ঙ্কর পারফরম্যান্সের পর আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে নীরজ এবং শ্রীজেশ ভাইয়ের বড় অবদান ছিল।' (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
7/7নীরজ, শ্রীজেশরা যে ভুল লোকের উপর আস্থা রাখেননি, তা গত মাসের বিশ্ব অ্যাথেলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে বুঝিয়ে দেন শ্রীশঙ্কর। সপ্তম হয়েছিলেন। এবার ইতিহাস গড়ে বার্মিংহ্যামে রুপো জিতলেন। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)