শুভব্রত মুখার্জি: টেস্ট হোক বা ওয়ানডে কিংবা টি-২০ ক্রিকেটের যে কোন ফর্ম্যাটেই আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করতেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর এখন তাঁকে ধারাভাষ্যকার হিসেবে দেখা যায়। ২০০৯ সালে মুম্বইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে একটি টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে সেই ম্যাচে দুরন্ত খেলেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। তবে সে দিন অল্পের জন্য ট্রিপল সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলিধরন জানান, আক্ষেপের সুরে বীরু তাঁকে পরবর্তীতে বলেছিলেন সে দিন দ্রাবিড়ের কথা না শুনে আক্রমনাত্মক খেলে ট্রিপল সেঞ্চুরিটা করে ফেলা উচিত ছিল তাঁর।
মুরলিধরন জানান, ‘আমার যতদূর মনে পড়ছে সে দিন মুম্বইয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ২৯০ রানে ব্যাট করছিল। যতদূর মনে পড়ছে সে দিন দ্রাবিড় ওকে বলেছিল, ধরে খেলতে যাতে পরের দিন ও ওর ট্রিপল সেঞ্চুরিটা সম্পন্ন করতে পারে। পরের দিন সকালে ও একটা ট্যাপ শট খেলতে গিয়ে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যায়। তখন আমাকে ও বলেছিল রাহুলের কথাটা আমার শোনা উচিত ছিল না। তোমার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে আমার আক্রমণাত্মক খেলা উচিত ছিল।’
উল্লেখ্য ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজের সেটি তৃতীয় টেস্ট ছিল। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ৩৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ভারতের হয়ে দুরন্ত খেলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। দ্বিতীয় দিনের শেষে তিনি ২৮৩ রানে নট আউট ছিলেন। সকলের আশা ছিল তৃতীয় দিন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ তার ত্রিশতরান পূর্ণ করবেন। তবে তিনি সে দিন ২৯৩ রানেই আউট হয়ে যান। উল্লেখ্য ২০০৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানে সাকলিন মুস্তাককে ছয় মেরেই নিজের ত্রিশতরান পূর্ণ করেছিলেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। বীরেন্দ্র সেহওয়াগের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায় মুরলিধরনের গলায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।