মুশফিকুর রহিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে নেই মুশফিক। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিনকে মুশফিকের না থাকার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের পরপর চারটি টেস্ট আছে। পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু। তার পরপরই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ আছে। মুশফিক আমাদের অন্যতম সেরা ও গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমরা চাই মুশফিক যেন সেরাটা দিতে পারে। এ জন্য টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওকে বিশ্রাম দিয়েছি।’
মুশফিক নিজে অবশ্য দলে ডাক না পাওয়াকে ‘বিশ্রাম’ বলছেন না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেছেন, টি-টোয়েন্টি দল থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশ্রাম দেওয়া হয়নি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নির্বাচকদের যোগাযোগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এসব মন্তব্য করে মুশফিক আচরণবিধি ভেঙেছেন বলেই মনে করছে বিসিবি। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তাঁকে বলতে হবে, কেন ও কী কারণে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা তিনি বলেছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, মুশফিক আমাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তা আমরা সবাই জানি। এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। এত বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিচ্ছে। আমার মনে হয়েছে, ওকে সতেজ রাখাটা খুব জরুরি। তিনি আরও বলেন, সামনে টেস্ট সিরিজ রয়েছে। তামিম হয়তো খেলতে পারবে না। শাকিবের খেলাও অনিশ্চয়তা আছে। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট খেলা ছেড়ে দিয়েছে। মুশফিক ছাড়া টেস্টে আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড় আর কোথায়?
দেশের একটি অনলাইনকে জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সুজন বলেন, আমার মনে হয় এখানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোথাও ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। মুশফিক হয়তো বুঝতে ভুল করেছে। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফেরার পর প্রধান নির্বাচক মুশফিককে ফোন করে পাননি। পরে ওকে খুদেবার্তা পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, টি-টোয়েন্টি থেকে ওকে বাদ দেওয়া হয়নি। কোনো নির্বাচকই বলেনি যে ওকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, একটা সিরিজে ওর বিশ্রাম দরকার।