পরিষ্কার গাণিতিক সমীকরণ। রীতিমতো হিসাব কষে উদ্বোধনী আইপিএল মরশুমে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দলে নিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। কীভাবে পরিকল্পনা মাফিক ধোনিকে দলে নেওয়া নিশ্চিত করেছিলেন, রহস্য ফাঁস করলেন সিএসকে মালিক এন শ্রীনিবাসন।
প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, যত টাকাই লাগুক, তিনি ধোনিকে দলে নিতে মরিয়া ছিলেন। সেকারণেই নিলামের আগে কোনও আইকন প্লেয়ারের দাবি জানাননি তিন।
আসলে আইপিএলের আগে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা নিজেদের শহরের তারকা ক্রিকেটারকে দলে রাখতে চায়। মুম্বই সচিনকে, কলকাতা সৌরভকে, পঞ্জাব যুবরাজকে, দিল্লি সেহওয়াগকে এবং বেঙ্গালুরু দ্রাবিড়কে আইকন প্লেয়ার হিসেবে দলে নেয় তাদের ফ্যান বেস তৈরির জন্যই।
শ্রীনিবাসন এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছিলেন। তিনি ধোনিকে আইকন প্লেয়ার হিসেবে নয়, বরং নিলাম থেকে জালে তুলে নিতে চেয়েছিলেন।
শ্রীনি বলেন, ‘এটা নিখাদ পাটিগণিতের হিসাব। সেইসময় পঞ্জাব যুবরাজকে দলে চায়। দিল্লি চায় সেহওয়াগ তাদের হয়ে খেলুক। মুম্বই সচিনকে ছাড়া দল গড়ার কথা ভাবতেই পারে না। সুতরাং, সচিনের অন্য কোনও দলের হয়ে খেলা সম্ভব ছিল না। নিয়ম মতো আইকন প্লেয়ারদের দলের সর্বোচ্চ মূল্যের ক্রিকেটারের থেকে ১০ শতাংশ বেশি টাকা দিতে হতো। নিলামে আমি যে কোনও টাকা খরচ করতে রাজি ছিলাম ধোনির জন্য।’
প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি আরও বলেন, ‘যখন ধোনির দাম ওঠে ১.৫ মিলিয়ন ডলার, তখন বাকিরা ভাবতে শুরু করে আইকন প্লেয়ারদের আরও বেশি টাকা দিতে হবে। ১.৫ মিনিয়ন মার্কিন ডলারে ধোনিকে কিনলে সচিনের জন্য খরচ করতে হবে ১.৬৫ মিলিয়ন ডলার। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের হাতে ছিল সবমিলিয়ে ৫ মিলিয়ন ডলার। দু’জন প্লেয়ারকে কিনতেই যদি ৬০ শতাংশ টাকা খরচ হয়ে যায়, তাহলে দল গড়া মুশকিল। তাই বাকিরা ধোনির জন্য দাম হাঁকা বন্ধ করে দেয়। আমরা ধোনিকে পেয়ে যাই। শুধুমাত্র একারণেই আমি কোনও আইকন প্লেয়ার চাইনি নিলামের আগে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।