বাংলা নিউজ > ময়দান > Naseem Shah's alleged age fraud: ২০১৮-তে বয়স ১৭, তা ২০২২-তে হল ১৯! পুরনো টুইটে পাকিস্তানি নাসিমকে নিয়ে জল্পনা

Naseem Shah's alleged age fraud: ২০১৮-তে বয়স ১৭, তা ২০২২-তে হল ১৯! পুরনো টুইটে পাকিস্তানি নাসিমকে নিয়ে জল্পনা

পাকিস্তানি পেসরা নাসিম শাহ। (ছবি সৌজন্যে এপি)

Naseem Shah's alleged age fraud: নেটিজেনদের বক্তব্য, একজনের বয়স ২০১৮ সালে যদি ১৭ হয়, কোন জাদুবলে ২০২২ সালে তাঁর বয়স ১৯ হতে পারে? তাহলে কি বয়স ভাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানি তারকা নাসিম শাহ?

চার বছর আগে বয়স ছিল ১৭। এখন নাকি তাঁর বয়স ১৯। এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের পুরনো টুইট খুঁজে বের করে পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ তুললেন নেটিজেনরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

গত রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় পাকিস্তানের পেসার নাসিমের। ভারতীয়দের মধ্যে কাঁপুনি ধরিয়ে দেন। পায়ে ক্র্যাম্প সত্ত্বেও যেভাবে শেষ ওভার বল করেছিলেন, তা প্রতিদ্বন্দ্বিতার বেড়া টপকে নেটিজেনদের মন জয় করে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় নাসিমের কীর্তি।

আরও পড়ুন: Asia Cup: কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ছেন নাসিম, ফুটেজ দেখে উদ্বেল নেটপাড়া- ভিডিয়ো

তারইমধ্যে নাসিমকে নিয়ে পুরনো একটি টুইট ভাইরাল হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর সেই টুইট করেছিলেন পাকিস্তানের সাংবাদিক। সেই টুইটে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সুপার লিগের জন্য কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের স্বাক্ষর করানো অত্যন্ত প্রতিভাবান ১৭ বছরের নাসিম শাহের (ওই টুইটে Nasim Shah লিখেছেন, আইসিসিতে তাঁর নাম Naseem Shah আছে) পিঠে চোট লেগেছিল। উনি ট্রেনিংয়ে ফিরেছেন এবং পাকিস্তান সুপার লিগের চতুর্থ সংস্করণের জন্য ফিট হয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’

নেটিজেনদের বক্তব্য, একজনের বয়স ২০১৮ সালে যদি ১৭ হয়, কোন জাদুবলে ২০২২ সালে তাঁর বয়স ১৯ হতে পারে? তাহলে কি বয়স ভাঁড়িয়েছেন পাকিস্তানি তারকা নাসিম? যদিও বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আইসিসি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর জন্মতারিখ দেখাচ্ছে ২০০৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ

জয় দিয়ে এশিয়া কাপের অভিযান শুরু করেছে ভারত। দু'বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট পাকিস্তানকে হারিয়েছেন রোহিত শর্মারা। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন হার্দিক পান্ডিয়া। যিনি চার ওভারে ২৫ রানে তিন উইকেট নেন। পরে চাপের মুখে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন। জয়সূচক শটও মারেন।

  • ভারতের জয়ের কারণ
  • ভুবনেশ্বর কুমারের দুর্দান্ত বোলিং: জসপ্রীত বুমরাহ চোটের জন্য নেই। দলের একমাত্র অভিজ্ঞ বোলার হিসেবে তাঁর উপর চাপ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠলেন ভুবি। বাবর আজমকে একেবারে চমকে দিয়ে বাউন্সারে আউট করেন। পাকিস্তান যে ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। চার ওভারে ২৬ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।
  • হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্ধর্ষ বোলিং: তিনটে দুর্ধর্ষ বাউন্সারে যে তিনটি উইকেট পান হার্দিক, তা পাকিস্তানকে পুরো ধসিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কেন হার্দিককে (পুরো ফিট হননি) নিয়ে রবি শাস্ত্রী আক্ষেপ প্রকাশ করেন, তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। হার্দিকের জন্যই ১২ ওভারে ৮৭ রানে দু'উইকেট থেকে ১৪.৩ ওভারে পাঁচ উইকেটে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ৯৭ রান। হার্দিক চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন।
  • হার্দিক পান্ডিয়ার অসাধারণ ব্যাটিং: প্রবল চাপের মুখে নেমে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করে ভারতকে জেতালেন হার্দিক। বিশেষত শেষ ১১ বলে ২০ রান বাকি থাকা অবস্থায় ১৯ তম তিনটি চার মেরে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা আউট হয়ে যাওয়ার পর যেভাবে ঠান্ডা মাথায় ভারতকে জেতালেন, তাতে এই ম্যাচ জয়ের সবথেকে কৃতিত্ব প্রাপ্য হার্দিকের।
  • শেষ তিন ওভারে ৩০ গজের বৃত্তে পাঁচজন ফিল্ডার: আইসিসির নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্লো ওভার রেটের ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিতে শেষ কয়েকটি ওভারে ৩০ গজের বৃত্তের মধ্যে পাঁচ ফিল্ডারকে রাখতে হবে। পাকিস্তানকে তার ফল ভুগতে হয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে বাউন্ডারিতে একজন ফিল্ডার কম থাকায় বাড়তি সুবিধা পায় ভারত। বিশেষত হার্দিকের শেষ চারটি চারের ক্ষেত্রে সেটা বলাই যায়।
  • শেষ ওভারে খুব বাজেভাবে আউট হলেও ভারতের জয়ের কৃতিত্ব প্রাপ্য জাদেজারও। চাপের মুখে ২৯ বলে ৩৫ রান করে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তাঁর দুই ছক্কা এবং দুই চারের কারণে ম্যাচে বেশি পিছিয়ে পড়েনি।

বন্ধ করুন