শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে নীরজ চোপড়ার নাম। কয়েক বছর আগে প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিট (জ্যাভলার) হিসেবে অলিম্পিক্সের ইতিহাসে ভারতকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড থেকে সোনা এনে দিয়েছিলেন তিনি। সেই ফর্ম যে তিনি এখনও ধরে রাখতে সক্ষম, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন শুক্রবার। দোহাতে বাজিমাত করলেন ভারতের সোনার ছেলে। মাত্র ০.০৪ মিটারের ক্ষুদ্রতম ব্যবধানে ডায়মন্ড লিগে সোনা জিতলেন নীরজ।
গত বারের ডায়মন্ড লিগে চ্যাম্পিয়ন এ বারও তার খেতাব ধরে রাখতে সক্ষম হলেন।৮৮.৬৭ মিটার থ্রো করে বাজিমাত করলেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন জাকুব ভ্যাডলেচ। তিনি থ্রো করলেন ৮৮.৬৩ মিটার। ফলে ২৫ বছর বয়সি ভারতীয় জ্যাভলার মাত্র ০.০৪ মিটারের ব্যবধানে জিতে শেষ হাসি হাসলেন। এ দিনের ফাইনালে নীরজ চোপড়ার প্রথম থ্রো-ই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিল। এই থ্রোয়ের উপর ভর করেই দোহা ডায়মন্ড লিগ খেতাব জিতলেন তিনি । এই নিয়ে তৃতীয় বার ডায়মন্ড লিগের শীর্ষস্থান দখল করলেন নীরজ।
সোনা জিতলেও এখনও পর্যন্ত ৯০ মিটারের মাইলফলক অধরাই থাকল তাঁর কাছে। টোকিও অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন নীরজ এ দিন ৯ জন বিশ্বসেরা প্রতিযোগীকে পিছনে ফেললেন ফাইনালে। গত বছর তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে জিতেছিলেন ডায়মন্ড লিগের ট্রফি। এই বছর ও তার অন্যথা হল না। টোকিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী জাকুব ভ্যাডলেচ এ দিনও শেষ করলেন দ্বিতীয় স্থানে। তিনি থ্রো করেন ৮৮.৬৩ মিটার। তৃতীয় হন অ্যান্ডারসন পিটার্স। তাঁর সেরা থ্রো ছিল ৮৫.৮৮ মিটার।
নীরজ চোপড়ার এ দিনের থ্রোগুলি ছিল যথাক্রমে ৮৮.৬৭ মিটার, ৮৬.০৪ মিটার এবং ৮৫.৪৭ মিটারের। চতুর্থ থ্রোটি তাঁর ফাউল হয়। পঞ্চম থ্রো ছিল ৮৪.৩৭ মিটারের। ষষ্ঠ থ্রোটি ছিল ৮৬.৫২ মিটারের। উল্লেখ্য, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালেও ডায়মন্ড লিগের ফাইনালে উঠেছিলেন নীরজ চোপড়া। যদিও দু'বারই প্রথম পাঁচের মধ্যে শেষ করতে পারেননি তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।