শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পকেটে তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সুপার ওভারে জিতে নেয় শ্রীলঙ্কার। এরপক তারা আর কোনও ম্যাচই জিততে পারেনি। পরপর দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় টম লাথামের দলের। শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজ নয়, টেস্ট এবং ওডিআইও নিজেদের দখলে রাখে কিউই ব্রিগেড। টি-টোয়েন্টিতেও নিজেদের দাপট বজায় রাখল তারা।
শনিবার কুইন্সটাউনে সিরিজের একাবের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক। দুই দলের কাছেই এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সিরিজের ফলাফল ১-১ ছিল। অর্থাৎ এই ম্যাচ যে দল জিতবে সেই সিরিজ পকেটে তুলে নেবে। তাই শুরু থেকেই দুই দল নিজেদের দাপট বজায় রাখে।
এদিন ম্যাচের শুরুটা বেশ ভালো করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্কা এবং কুশল মেনডিস। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে এগিয়ে যায় লঙ্কানরা। তবে এই ম্যাচে কুশল মেনডিসের ব্যাট দাপট দেখায়। তাঁর ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকে এগিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। বাকি ব্যাটাররা এলেন আর গেলেন। তবে এটা ভালো, অধিকাংশ ব্যাটারই কুশল মেনডিসকে যোগ্য সঙ্গ দেন। ম্যাচের ব্যাটন তাঁর হাতে থাকায় তিনি একাই দলকে টেনে নিয়ে যান।
৪৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন কুশল। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ৫টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া কুশল পেরেরা ২১ বলে ৩৩ রান করে রানআউট হয়ে যান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া আর কোনও ব্যাটারই সেই ভাবে বড় রান করতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
বড় রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নামেন চাদ বোয়েস এবং টিম শেফার্ট। এই দুই ব্যাটার শুরুটা দুর্দান্ত করেন। প্রথম থেকেই লঙ্কান বোলাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন। বেশ কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায় তারা। চাদ বোয়েস (১৮ বলে ১৭ রান) সেই ভাবে বড় রান করতে না পারলেও শেফার্ট বড় রান করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। অধিনায়ক লাথামও বড় রান টার্গেট নিয়ে মাঠে নামেন। কিন্তু তাঁকে ২৩ বলে মাত্র ৩১ রানে থামতে হয়। কিন্তু নিজের দাপট বজায় রাখেন শেফার্ট।
দলকে জয়ের দিকে এগিয়েও নিয়ে যান তিনি। কিন্তু প্রমোদের বল বুঝতে না পেরেই তাঁর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যায় শেফার্ট। ৪৮ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। কিউই ব্যাটারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। তিনি আউট হয়ে ফিরে যেতেই চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। পরপর উইকেটও হারাতে থাকে কিউইরা। শেষ ওভারে তিনটি উইকেট পতন ঘটে কিউইদের। হ্যাটট্রিক করেন লাহিরু কুমারা। জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে লঙ্কানরা। কিন্তু তা হতে দেননি কিউই ব্যাটাররা। স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে শ্রীলঙ্কার থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় তারা। ১ বল হাতে থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য নির্ধারিত রান তুলে নেয় কিউই ব্রিগেড। এই ম্য়াচে তিন উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। ম্যাচ এবং সিরিজের সেরা হয়েছেন টিম শেফার্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।