প্রবল হইচই হতে পারে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু হল ঠিক তার উলটো। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বার্ষিক সাধারণ সভায় একটাও শব্দ খরচ হল না। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
একটি রাজ্য সংস্থার সদস্যের দাবি, বিভিন্ন মহলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়লেও সৌরভের স্বার্থ সংঘাতের বিষয়টি সাধারণ সভার আলোচ্য তালিকায় ছিল না। বরং সেই বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা হচ্ছিল।
যদিও বোর্ডের সাধারণ সভার আগে বিভিন্ন অংশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, বড়দিনের আগেরদিনের বৈঠকে স্বার্থ সংঘাতের বিষয়ে একাধিক ‘বাউন্সার’-এর মুখ পড়তে হতে পারে সৌরভকে। বিশেষত আইপিএলের মূল স্পনসর 'ড্রিম ১১' হওয়া সত্ত্বেও বিরোধী সংস্থা 'মাই১১সার্কেল'-র হয়ে কীভাবে বোর্ড সভাপতি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন, তা নিয়ে বোর্ডের একটি অংশে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। সৌরভের ভূমিকায় তাঁরা অখুশিও ছিলেন। তার জেরে ‘কঠিন পিচে’ সৌরভ একাধিক প্রশ্নের মুখ পড়তে চলেছেন বলে সেই অংশের তরফে দাবি করা হয়েছিল।
সাধারণ সভার আগেই অবশ্য 'ড্রিম ১১'-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, সৌরভের বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামানো হচ্ছে না। বরং সৌরভের ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন নিয়ে 'ড্রিম ১১'-এর কোনও সমস্যা নেই জানানো হয়েছিল। একইসঙ্গে বিষয়টি বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এড়িয়ে গিয়েছিল 'ড্রিম ১১'। তা সত্ত্বেও বিরোধী-সুর শোনা যাচ্ছিল। সেই অংশের প্রশ্ন ছিল, 'ড্রিম ১১' আপত্তি না জানালেও নৈতিক দিক থেকে কীভাবে বোর্ড প্রেসিডেন্টই বিরোধী সংস্থার প্রচার করতে পারেন? তা কি আদৌও ভালো বার্তা যায় স্পনসরদের কাছে?
কিন্তু বোর্ডের সাধারণ সভার বৈঠকে সেই প্রসঙ্গই ওঠেনি। আর নৈতিকতার প্রশ্নে না হেঁটে ওই রাজ্য সংস্থার সদস্য দাবি করেন, আইনি দিক থেকে সৌরভের পথে কোনও বাধা নেই। তাঁর কথায়, ‘আইনিভাবে সৌরভের অবস্থান স্পষ্ট ছিল। তাছাড়া প্রশ্ন ওঠার বিষয় বলতে গেলে তো ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে এন শ্রীনিবাসনের জামাইয়ের গ্রেফতারির পর তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্টকে তো কখনও প্রশ্ন করেনি বিসিসিআই। সেটা তো আরও গুরুতর ছিল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।