শুভব্রত মুখার্জি: ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিক্সের শেষ দিনটা ভারতীয় ক্রীড়ার ইতিহাসে 'রেড-লেটার ডে'। অলিম্পিক্সের এত বছরের ইতিহাসে ভারতীয় জ্যাভলার নীরজ চোপড়ার হাত ধরে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্ট থেকে তারা তাদের প্রথম সোনার পদকটি জিততে সক্ষম হয়েছিল। অলিম্পিকে সেই সাফল্যের পর দীর্ঘ ১০ মাস খেলার মাঠ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন নীরজ চোপড়া। ১০ মাস পরে মাঠে প্রত্যাবর্তন করে তার সটান জবাব অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে আলাদা কোন চাপ তিনি অনুভব করেন না।
প্রসঙ্গত টোকিও গেমসে ৮৭.৫৮ মিটার থ্রো করে জ্যাভলিনে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। ১০ মাস পরে পাভো নুর্মি গেমসের মধ্যে দিয়ে মাঠে ফিরেই নিজের জাত চিনিয়েছেন নীরজ। ৮৬.৯২ মিটার থ্রো করেন চ্যাম্পিয়ন থ্রোয়ার। এরপরেই ভেঙে ফেলেন জাতীয় পর্যায়ে গড়া নিজের রেকর্ডও। তার আগের রেকর্ডটি ছিল ৮৮.০৭ মিটারের থ্রো। এবারে তিনি ৮৯.৩০ মিটার ছুঁড়ে রেকর্ডটি ভেঙে ফেললেন। যদিও ফিনল্যান্ডের অলিভার হেলেন্ডার ৮৯.৮৩ মিটার থ্রো করে চ্যাম্পিয়ন হন। নীরজ শেষ করেন দ্বিতীয় স্থানে।
পরবর্তীতে নীরজ চোপড়া জানান 'খুব ভাল একটা অনুভূতি (প্রত্যাবর্তনের) ছিল। আমার মাথায় একেবারেই বেশি কিছু ছিল না। আমি অনুশীলনে যা যা করেছি সেইসব মাথাতে রেখেই খেলছিলাম। থ্রোগুলোও খারাপ হচ্ছিল না। তবে কয়েকটা সময়ে মনে হয়েছে যে দিশাতে যাওয়া উচিত ছিল থ্রোগুলোর সেই দিশাতে যাচ্ছে না। কিছুটা লক্ষ্যের থেকে ভিতরে গিয়ে পড়ছে। তবে ব্যক্তিগত সেরা থ্রো করাটা বেশ সন্তোষজনক। যে কোন অ্যাথলিটের কাছে ব্যক্তিগত সেরাটা দেওয়াই মূল লক্ষ্য। এর থেকে বোঝা যায় উন্নতি হচ্ছে। আমাকে গোটা মরশুমে ভাল করার আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে আমিও ভালো করতে পারি। এখানে বিশ্বের সেরা থ্রোয়াররা ছিলেন। যেটা খুব ভাল বিষয়। তবে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে বাড়তি চাপ আমি কখনওই অনুভব করিনি। আমি আমার গেম এবং টেকনিকে মনোনিবেশ করেছি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।