আইপিএল নিলামে দল পাননি মার্টিন গাপ্তিল, ডেভন কনওয়ে, গ্লেন ফিলিপস, ইশ সোধিরা। শেষের জন তো ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল খেলার সুযোগ না পেয়ে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। অথচ আইপিএল নিলাম পরবর্তী প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজে মাঠে নেমে অবিক্রিত তারকাই ব্যাটে-বলে সফল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডকে হাই-ভোল্টেজ টি-২০ সিরিজ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে দল না পাওয়া এই ক্রিকেটাররাই।
অন্যদিকে বিপুল অর্থে আইপিএলের আঙিনায় ঢুকে পড়া মহাতারকারা ব্যাটে-বলে কার্যত গোটা সিরিজেই ব্যর্থ বলা চলে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-একটা ম্যাচে নজর কাড়লেও সার্বিকভাবে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি ১৪ কোটি ২৫ লক্ষের ম্যাক্সওয়েল, ১৫ কোটির কাইল জেমিসনরা। নিউজিল্যান্ডের অল-রাউন্ডার তো বল হাতে এতটাই ব্যর্থ যে, শেষ ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামানোর ঝুকিই নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ২-২ সমতায় দাঁড়িয়েছিল। ফলে শেষ ম্যাচটি কার্যত ফাইনালের রূপ নেয়। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের চাপ সামলে কিউয়িদের জয় এনে দিলেন গাপ্তিল-সোধিরা। কাইল জেমিসন প্রথম চার ম্যাচে সাকুল্যে ১৭৫ রান খরচ করায় তাঁকে এই ম্যাচের প্রথম একাদশে রাখেনি নিউজিল্যান্ড।
ওয়েলিংটনে সিরিজের পঞ্চম টি-২০ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ১৪২ রান তোলে। ফিঞ্চ ৩৬, ওয়েড ৪৪, স্টইনিস ২৬ ও মিচেল মার্শ ১০ রান করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১ রান করে আউট হন। ঝাই রিচার্ডসন করেন ৪ রান। ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন ইশ সোধি। ২টি করে উইকেট দখল করেন টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ১৫.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪৩ রান তুলে নেয়। কনওয়ে ৩৬, গাপ্তিল ৭১ ও গ্লেন ফিলপস ৩৪ রান করেন। রিলি মেরেডিথ ২টি ও ঝাই রিচার্ডসন ১টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন গাপ্তিল। ৫ ম্যাচে ১৩টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন সোধি।
৭ উইকেটে শেষ ম্যাচ জয়ের সুবাদে নিউজিল্যান্ড ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে পকেটে পোরে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।