অইপিএল খেলতে ভারতে উড়ে আসার আগে দেশের জার্সিতে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ফিন অ্যালেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের নবাগত তারকা নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেন করতে নেমে মাত্র ১৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
বৃষ্টির জন্য নিউজিল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে ১০ ওভারে দাঁড়ায়। সুতরাং আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ পরিণত হয় টি-১০ ক্রিকেটে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। মার্টিন গাপ্তিলের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫.৪ ওভারে ৮৫ রান যোগ করেন অ্যালেন। গাপ্তিল ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ফিন ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এটি আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে কলিন মুনরোর নামে। শেষমেশ ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৭১ রান করে আউট হন অ্যালেন।
নিউজিল্যান্ড ১০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪১ রান তোলে। গ্লেন ফিলিপস ৬ বলে ১৪ ও ডারিল মিচেল ৬ বলে ১১ রান করেন। তাস্কিন, শরিফুল ও মেহেদি হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৯.৩ ওভারে ৭৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মহম্মদ নঈম ১৯, সৌম্য সরকার ১০ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১৩ রান করেন। বাকিরা কেউ দু'অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। টড অ্যাস্টল ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন। টিম সাউদি দখল করেন ১৫ রানে ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট অ্যাডাম মিলিন, লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ফিলিপসের।
৬৫ রানের বড় ব্যবধানে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজেও বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলেন কিউয়িরা। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ফিন। সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠেছে গ্লেন ফিলিপসের হাতে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।