এমন ঐতিহাসিক জয়ের পর এমন বন্য সেলিব্রেশন মানায় বইকি। বে ওভালে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজের প্রথম টেস্টে পরাজিত করার পর সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ শিবিরের উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধনছাড়া।
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় তাদের ড্রেসিং রুমে জয়ের উত্সব। সাজঘরে মুশফিকুর রহিমরা সমবেতভাবে গেয়ে ওঠেন, ‘আমরা করব জয়, আমরা করব জয়, আমরা করব জয় একদিন, আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়, আমরা করব জয় একদিন।’
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এটাই সেরা জয় বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। তাও শাকিব আল হাসানের মতো দলের সেরা তারকাকে ছাড়াই বাংলাদেশ যে রকম লড়াই উপহার দেয় মাউন্ট মাউনগানুইয়ে, তা এককথায় অবিশ্বাস্য।
স্পিন বোলিং বরাবর বাংলাদেশের শক্তি। ঘরের মাঠে স্পিনিং পিচেই অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করেছেন মুশফিকুররা। গত টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভের সব ম্যাচ হারার পর ঘরের মাঠের স্পিনিং ট্র্যাকে খেলার অভ্যাসকেই ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমন পরিস্থিতি থেকে নিউজিল্যান্ডের পেস সহায়ক পিচে বাংলাদেশের টেস্ট জয় কার্যত মিরকলই বটে।
উল্লেখ্য, বে ওভালে সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ৩২৮ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রান তোলে। ১৩০ রানে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ১৬৯ রানে। শেষ ইনিংসে বাংলাদেশ ২ উইকেটের বিনিময়ে ৪২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।