ঘরের মাঠে দর্পচূর্ণ টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। চলতি বছরে নিজেদের ডেরায় পরপর দু'টি টেস্ট সিরিজ জিততে ব্যর্থ নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করেছিল কিউয়িরা। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা পিছিয়ে পড়েও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্টে কিউয়িদের ১৯৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় প্রোটিয়ারা।
জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২৬ রানের। চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান তোলে। ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডেভন কনওয়ে। তার পর থেকে খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড শেষ দিনে অল-আউট হয়ে যায় ২২৭ রানে। কনওয়ে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন। তিনি আউট হন ১৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮৮ বলে ৯২ রান করে।
এছাড়া শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টম ব্লান্ডেল ৪৪, ডারিল মিচেল ২৪, কলিন ডি'গ্র্যান্ডহোম ১৮, কাইল জেমিসন ১২, টিম সাউদি ১৭ ও নেইল ওয়াগনার অপরাজিত ১০ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া কাগিসো রাবাদা দ্বিতীয় ইনিংসে দখল করেন ৩টি উইকেট। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মারকো জানসেন ও কেশব মহারাজও। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৫৩ রান করে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন রাবাদা। দুই ম্যাচে ৫৮ রান ও ১৪টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন ম্যাট হেনরি।
উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬৪ রান তোলে। সারেল এরউই ১০৮ রান করেন। ৪টি উইকেট নেন ওয়াগনার। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৯৩ রানে। গ্র্যান্ডহোম করেন ১২০ রান। রাবাদা ৫টি ও জানসেন ৪টি উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে ৩৫৪ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। কাইল ভেরেইন ১৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ২২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়।