কথায় আছে, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। প্রচলিত বাংলা প্রবাদটা থেকে প্রেরণা নিতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। এবারই প্রথম ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অংশ নেয় লাল-হলুদ শিবির। মোহনবাগানের কাছে হার দিয়ে লিগ অভিযান শুরু হয় তাদের। শেষ হল ওড়িশা এফসির কাছে ৬ গোল হজম করে। বিদায়ি ম্যাচেও তাদের হারের মুখ দেখতে হয়।
শেষ ম্যাচে পরাজিত হলেও ইস্টবেঙ্গলের পালটা লড়াই তারিফ কুড়িয়ে নিতে পারে। কেননা, ৬টি গোল খেলেও নিজেদের নামের পাশে ৫টি গোল বসিয়ে নিতে সক্ষম হয় তারা। যদিও একটি গোল ওড়িশার আত্মঘাতী।
প্রথম লেগের ম্যাচে ওড়িশাকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল। ফিরতি ম্যাচে তাদের হারতে হয় ৫-৬ গোলে। সুতরাং, সব মিলিয়ে এই ম্যাচে ১১টি গোল হয়। এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগেই শুধু নয়, বরং টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবথেকে বেশি গোল হয় ওড়িশা বনাম ইস্টবেঙ্গলের এই ম্যাচেই।
লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে থেকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের প্রথম মরশুম শেষ করে লাল-হলুদ শিবির।
এদিন ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় লুয়াংয়ের পাস থেকে গোল করেইস্টবেঙ্গলকে ১-০ এগিয়ে দেন পিলকিংটন। ৩৩ মিনিয়ে লালরেজুয়ালার গোলে ১-১ সমতা ফেরায় ওড়িশা। ৩৭ মিনিটে রবি কুমারের আত্মঘাতী গোল পুনরায় লিড এনে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। বিরতিতে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকে ২-১ গোলে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে কার্যত গোলের বন্যা বয়ে যায়। ৪৯ মিনিটে ব্র্যাড ইনম্যানের পাস থেকে গোল করে পল পুনরায় সমতায় ফেরান ওড়িশাকে। ৫১ মিনিটে ম্যানুয়েলের পাস থেকে গোল করেন জেরি। ওড়িশা এগিয়ে যায় ৩-২ গোলে। ৬০ মিনিটে ফক্সের পাস থেকে গোল করেন জোশুয়া এবং স্কোর-লাইন দাঁড়ায় ৩-৩।
এর পর ওড়িশার হয়ে পরপর তিনটি গোল করেন পল (৬৬ মিনিট), জেরি (৬৭) ও দিয়েগো (৬৯)। ওড়িশা ৬-৩ গোলের লিড নেয়। শেষে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ৭৪ মিনিটে গোল করেন জেজে এবং ইনজুরি টাইমে গোল করেন জোশুয়া। ফলে ম্যাচের চূড়ান্ত স্কোর-লাইন দাঁড়ায় ওড়িশার অনুকূলে ৬-৫।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।