টোকিও আর অসমের মধ্যে দূরত্বটা এক মুহূর্তে বুধবার সকালে কমিয়ে দিয়েছিলেন লভলিনা বড়গোহাঁই। বুধবার সকালে লভলিনার ম্যাচ চলার সময়ে গোটা অসমের চোখ আটকে গিয়েছিল টিভি-র পর্দায়। কিন্তু গোলাঘাট জেলার বারমুখিয়া গ্রামের ছোট্ট বাড়িতে তখন টেনশনের চোরাস্ত্রোত বয়ে গেলেও, লভলিনার মা-বাবা মামণি এবং টিকেন বড়গোহাঁই কিন্তু টিভি-র সামনেই আসেননি। দেখেননি মেয়ের বাউট।
লভলিনাদের বাড়িতে তখন গোটা গ্রাম উপচে পড়ছে। আত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিকরাও। মেয়েদের বক্সিংয়ের ওয়েল্টারওয়েট (৬৪-৬৯ কেজি) বিভাগের সেমিফাইনালে তুরস্কের বুসেনাজ সুরমেনেলির মুখোমুখি ২৩ বছরের লভলিনা। টানটান উত্তেজনা চলছে। কিন্তু মামণি এবং টিকেন তখন মেয়ের জয়ের জন্য প্রার্থনা করে যাচ্ছিলেন। এর আগেও লভলিনার কোনও বাউট তাঁরা দেখেননি।
লভলিনার বাবা এইচটি-কে ফোনে বলেছেন, ‘লভলিনার ম্যাচ লাইভ দেখাটা একদিকে যেমন উত্তেজনার ছিল, তেমনই আবেগের মুহূর্তও হয়ে ছিল। তবে আমরা ম্য়াচ না দেখে অন্যদের দেখে ফলাফল জানতেই বেশি পছন্দ করি। এবং পরে সম্ভব হলে সেই ম্যাচটি দেখে থাকি।’
সরাসরি না দেখলেও ম্যাচটির প্রতিটি মুহূর্ত সম্পর্কে তাঁরা জানতে পারছিলেন। পাশের ঘরে যাঁরা বাউট দেখছিলেন, তাঁদের হতাশা বা উচ্ছ্বাস শুনেই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি তাঁরা আন্দাজ করে নিচ্ছিলেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য টিকেন এবং মামণিকে ফলাফল জানানো হয়।
টিকেন বলছিলেন, ‘আমি ম্যাচটি এখনও দেখিনি। কিন্তু শুনেছি, ও সহজে হার মানেনি। লড়াই করেছে। হার-জিত তো খেলায় থাকবেই। আমরা ওর সাফল্যে গর্বিত। এবং ও যে ভারত এবং অসমকে গর্বিত করেছে, তার জন্য খুব খুশি। এই লড়াই থেকে শিক্ষা নিয়েই ও ভবিষ্যতে বক্সিংয়ে আরও উন্নতি করবে, এই বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
লভলিনার মা-বাবা এখন মেয়ের অপেক্ষায় পথ চেয়ে রয়েছেন। তাঁরা আশা করছেন, সামনের সপ্তাহেই বাড়ি চলে আসবেন তাঁর আদরের মেয়ে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।