পানিপথের চোপড়া পরিবারের সদস্যদের জন্য বুধবারটা ছিল একটা দারুণ দিন। হবে নাইবা কেন, তাদের বাড়ির ছেলে নীরজ চোপড়া যে দিনের শুরুটাই দারুণ করেছিলেন। এ দিন নীরজ টোকিও অলিম্পিক্সের জ্যাভেলিন থ্রো ইভেন্টের ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। প্রথম প্রচেষ্টায় নিজের জ্যভলিন ৮৬.৬৫ মিটার ছুঁড়ে ছিলেন। এরপরেই পানিপথের খন্দরা গ্রামে প্রায় উৎসব শুরু হয়ে যায়।
(টোকিয়ো অলিম্পিক্স ২০২০-এর যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন -- এখানে)
নীরজ ফাইনাল রাউন্ডে ওঠার পরেই মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়ে যায়। নীরজ চোপড়ার বাবা সতীশ কুমার একজন কৃষক, তিনি ছেলের সাফল্যের পরে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জন্য গর্ববোধ করি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে সে দেশের জন্য একটি স্বর্ণপদক জিতবে এবং এখন আমরা শনিবার ফাইনালে তার আরেকটি পারফরম্যান্স দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’ তার মা সরোজ বালা জানান, ‘আমার ছেলের কৃতিত্বে আমি খুশি এবং সে আবার দেশের জন্য সম্মান অর্জন করেছে।’ নীরজের কাকা ভীম চোপড়া বলেন, ‘শুধু পরিবার নয়, গোটা দেশ শনিবার তার পরবর্তী পারফরমেন্সের অপেক্ষা করছে।’
নীরজ যৌথ পরিবারে বড় হয়েছেন, তাঁর পরিবারে ১৯ জন সদস্য থাকেন। বুধবার সকালে তার পারফরম্যান্সের ঠিক আগে, তার পরিবারের সদস্যরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিলে এক সঙ্গে টেলিভিশনের সামনে বসেন। ছেলের লাইভ পারফরমেন্সে দেখার জন্য সকলেই টেলিভিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ছেলের পারফরমেন্স দেখার পরে চোপড়া পরিবার উৎসবের আকার নেয়। নীরজ ফাইনালে ওঠারে পরেই মিষ্টি বিতরণ শুরু হয়ে যায়। গ্রামের সাধারণ মানুষও নীরজের বাড়ির সামনে জড়ো হন। পানিপথের চোপড়ার পরিবারের সঙ্গে গোটা দেশ এ বার শনিবারের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, প্রত্যেকেরই আশা নীরাজের হাত ধরে পদক আসবে ভারতে। সেদিন যে পানিপথ আরও বড় উৎসবের আকার নেবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।