শুভব্রত মুখার্জি: ১৯৮০ সালের পরে ফের এক বার ভারতীয় পুরুষ হকি দল অলিম্পিক্সের পোডিয়ামে জায়গা করে নিয়েছে। পিআর শ্রীজেশরা টোকিওতে কার্যত স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। গ্রাহাম রিডের ছেলেদের চোখে মুখে লেখা ছিল পদক জয়ের সংকল্প। তাঁদের প্রতি ম্যাচ খেলা দেখেই বোঝা গিয়েছে। ব্রোঞ্জ পদক জয়ের ম্যাচে ভারত যে ভাবে পিছিয়ে থেকেও ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ীদের বিরুদ্ধে ম্যাচটি বের করে নিয়েছেন তা এককথায় অনবদ্য। সেই বিষয়ে বলতে গিয়েই ভারতের তারকা প্লেয়ার হরমনপ্রীত সিং জানালেন, সে দিন ম্যাচে তিনি তার সমস্ত সতীর্থের চোখে দেখেছিলেন ম্যাচ না হারার অদম্য জেদ। আর যা সেদিন ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের অন্যতম কারণ ছিল বলেই তিনি মনে করেন।
ব্রোঞ্জ পদক জয়ের ওই ম্যাচে ভারত একটা সময় ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল। সেখান থেকে দুরন্ত কামব্যাক করে ভারতীয় দল। ৫-৪ ফলে ম্যাচ জিতে ৪১ বছর পরে অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে তারা ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। টিমুজ ওরুজের গোলে ম্যাচে সেদিন ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। এরপর সিমরানজিৎ ভারতের হয়ে সমতা ফেরানোর পরপরেই দুটি গোল করে জার্মানরা ৩-১ ফলে এগিয়ে যান। তার পরের বাকিটা ইতিহাস সকলের জানা।
হিন্দুস্তান টাইমসকে এই জয় সম্বন্ধে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার হরমনপ্রীত সিং। তিনি বলেন , ' আমি মনে করি না, প্রথমে গোল খেলেও আমাদের আত্মবিশ্বাস সেদিন কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। খেলাতে অনেক সময় হয় আপনি প্রথমে গোল খেলে আপনি নার্ভাস হয়ে পড়েন। বিপক্ষ দল শক্তিশালী হয়। তবে আমাদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। একটা সময় আমরা ৩-১ ফলে পিছিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমি আমার সব সতীর্থের চোখে দেখি কেউ এই ম্যাচটা হারতে একেবারেই রাজি না থাকার অদম্য জেদ। প্রত্যেক খেলোয়াড় প্রত্যেককে মোটিভেট করছিলেন। আমরা আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। নিজেদের সব শক্তি উজাড় দিয়ে তারপর আমরা একজোট হয়ে ম্যাচটা জিততে সমর্থ হই।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।