একবার ফাঁকা গ্যালারিতে র্যাকেট ছুড়ে দিলেন। একবার মাথা গরম করে নেটের পোস্টে সপাটে র্যাকেট দিয়ে মেরে বসলেন। টোকিয়োর মারাত্মক গরমের মধ্যে ব্রোঞ্জ পদকের এভাবেই একাধিকবার মেজাজ হারালেন নোভাক জকোভিচ। পরে অবশ্য সেই আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন সার্বিয়ান তারকা।
(টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-এর যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন -- এখানে)
‘গোল্ডেন স্ল্যাম’-এর স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর শনিবার টোকিয়োয় ব্রোঞ্জ পদক জয়ের লক্ষ্যে নামেন জকোভিচ। কিন্তু প্রথম সেটেই হেরে বসেন। ৬-৪ ব্যবধানে জেতেন স্পেনের পাবলো ক্যারেনা বুস্তা। দ্বিতীয় সেটেই কার্যত হেরে যাচ্ছিলেন জকোভিচ। শেষপর্যন্ত স্নায়ু ধরে নির্ণায়ক সেটে নিয়ে যান ম্যাচ। তারইমধ্যে দ্বিতীয় সেটের টাইব্রেকারে ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচানোর পর তৃতীয় সেটের প্রথম গেমেই স্পেনীয় তারকার একটি ভলির রিটার্ন দিতে পারেননি। ছিটেফোঁটা নিজের ছন্দে না থাকা জকোভিচ ফাঁকা কোর্টে র্যাকেট ছুড়ে দেন। তা পঞ্চম সারিতে গিয়ে পড়ে। তবে তাঁকে সতর্ক করেননি চেয়ার আম্পায়ার।
কয়েকটি গেম পড়ে আবারও মেজাজ হারান জকোভিচ। দিক পরিবর্তনের সময় নেট পোস্টে সপাটে র্যাকেট দিয়ে মেরে দেন। তারপর দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া র্যাকেট তুলে ফোটাগ্রাফারদের জায়গার দিকে ভাসিয়ে দেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। সেইসময় মৌখিকভাবে সার্বিয়ান তারকাকে সতর্ক করে দেন চেয়ার আম্পায়ার। যদিও দ্বিতীয়বার বাজে আচরণ করার জন্য কেন পয়েন্ট পেনাল্টি দেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বুস্তা। যে বুস্তার বিরুদ্ধেই গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ম্যাচে অনিচ্ছাকৃতভাবে লাইন জাজের আঘাত করেছিলেন জকোভিচ। সার্ভিস খুইয়ে ফেলার সেই রাগে কোর্টের পিছন থেকে হেঁটে যাওয়ার কিছুটা জোরেই বল মারেন জকোভিচ। তা গিয়ে লাগে লাইন জাজের গলার কাছে। সেজন্য তাঁকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে ম্যাচের পর জকোভিচ বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা ম্যাচের অংশ। আমি এরকম করতে চাই না। এরকম বার্তা পাঠানোর জন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু আমরা সকলেই মানুষ। কখনও কখনও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।